রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইইউ প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁরা সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া সু-শাসন ও মানবাধিকারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সাধিত অগ্রগতি স্থায়ী রূপদান করার ব্যাপারে ইইউ প্রতিনিধিরা সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার সম্পর্ক বিস্তৃত ও জোরদারকরণের লক্ষ্যে সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাব-গ্রুপের নবম সভা ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে ইউরোপীয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক বিভাগের প্রধান কারোলিন ভিনট যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। সভায়¡ একুশ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের বিশটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে ইইউকে জানোনো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার প্রশ্নে মায়ানমার হতে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছেন। বাংলাদেশে অবস্থিত মায়ানমারের নাগরিকগণ পরিবেশ, প্রতিবেশ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ যে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে তা দীর্ঘায়িত হলে এ অঞ্চলের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিঘ্নিত হবে।
রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বমানবতার জন্য লজ্জাজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। সভায় মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহসহ সকলের সমর্থন চাওয়া হয়।
২০১৮ সনের নির্বাচন সম্পর্কে ইইউ হতে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক তাঁদেরকে বলেন, নিবন্ধিত ৩৯টি দলের অংশগ্রহণে প্রায় সতের শতাধিক প্রার্থীর প্রতিযোগিতায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের চাহিত সকল ধরণের সহযোগিতা প্রদান করেছে। এই নির্বাচনে পূর্ববর্তী যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে কম সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপরও নির্বাচন নিয়ে যেসব প্রার্থীর প্রশ্ন ছিল তাঁরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। সে বিবেচনায় নির্বাচন সম্পর্কিত প্রশ্নসমূহ (সাব-জুডিস) সম্পর্কে এই ফোরামে আলোচনার অবকাশ নেই।