নতুন করে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন ইরাকে। শুক্রবার রাজধানী বাগদাদ ও বিভিন্ন শহরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন ও নজরদারিকারীদের উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি, ব্যাপক বেকারত্ব ও সরকারি সেবাদানে ব্যর্থতার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ আগে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। তিন সপ্তাহ পরে আবার সেই বিক্ষোভ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের দমনপীড়নে নিহতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে গেছে।
ইরাকি অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণের প্রদেশ বসরা, মাইসান, ধি কার এবং মুথানায় বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে এসব শহরে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হওয়ার তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ইরাকের আধা সরকারি হিউম্যান রাইটস কমিশন বলছে, নিহতের সংখ্যা ৩০। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০০ বিক্ষোভকারী। বাগদাদ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নাতাশা গোনিম বলছেন, অক্টোবরের শুরুতে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল তারই ধারাবাহিকতা ছিল এই রক্তাক্ত বিক্ষোভ। তিনি আরো বলছেন, জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে যে রাজনৈতিক সঙ্কট সেখানে দেখা দিয়েছে তা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিতিতে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। তারা বলেছে, এক্ষেত্রে সংস্কার করা হবে। তারা আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিক্ষোভকারীদের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু তাতেও জনঅসন্তোষ প্রশমিত হয় নি। ইরাকের মানুষ ভয়াবহ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। তাদের দাবি বর্তমান সরকারের বিদায়।