ভোলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর ধর্ষকদের তাড়িয়ে দিয়ে নিজেই ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম (৩০)। সে মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। আজ ভোররাতে ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আমরা ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শনিবার নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ তার আড়াই বছরের শিশুকে নিয়ে মনপুরা যাওয়ার জন্য চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে আসেন। তিনি ঘাটে এসে দেখেন মনপুরাগামী লঞ্চটি ছেড়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে তিনি ওই রুটে নিয়মিত যাত্রী পারাপারকারী একটি স্পিডবোটে চড়েন।
এ সময় বোটে আরও দুই যাত্রী ছিলেন। পথিমধ্যে জনতার খালপাড় এলাকা থেকে আরও দুই যাত্রী ওঠেন। পরে বোটটি মনপুরার উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণ চলার পর একপর্যায়ে চারযাত্রী মিলে জোরপূর্বক স্পিডবোটটি চরপিয়ালে এলাকায় জোর করে থামিয়ে ওই গৃহবধূকে চরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি স্পিডবোটের মালিক সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুলকে জানালে তিনি অপর একটি স্পিডবোটে চড়ে চরপিয়াল আসেন। নজরুল এসে ওই চার ধর্ষককে মারধর করেন এবং তাদের কাছে থাকা ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর নজরুল ওই গৃহবধূকে আবার চরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। নজরুল ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। কাউকে কিছু বললে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেন তিনি।
ঘটনাটি চরের মহিষ রাখালরা দেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। পরে তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চরপিয়াল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্পিডবোটযোগে মনপুরায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় রাতেই ওই গৃহবধূ মনপুরা থানায় মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩০), বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) এবং কিরনকে (২৬) আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।