যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা আরো একবার নাকচ করেছে ইরান। দেশটির সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ খোমেনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না ইরান। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে ইরানী কর্মকর্তাদেরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নিষেধ করেছেন তিনি। দুই দেশকে একে অপরের নির্দয় শত্রু বলে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। বলেছেন, শত্রুপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় সমস্যার সমাধান হবে বলে যারা বিশ্বাস করে, তারা শতভাগ ভুল। তেহরানে মার্কিন দূতাবাস জব্দের ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এসব কথা বলেন তিনি।
খোমেনি বলেন, আমেরিকার রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ বন্ধের একটি উপায় হচ্ছে তাদের সঙ্গে আলোচনায় না যাওয়া। এর অর্থ আমেরিকার চাপের মুখে নতী স্বীকার করবে না ইরান।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। চুক্তি থেকে বের হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অর্থনীতিতে তা বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এদিকে, মার্কিন দূতাবাস জব্দের ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে তেহরানজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মিছিল হয়েছে। মিছিলকারীরা আমেরিকান মৃত্যু কামনা করে স্লোগান দিয়েছে। ওই দূতাবাস জব্দের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে হিংস্রতা চরম রূপ ধারণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির একটি মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তাদের সম্পর্ক। ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের দখল নিয়ে নেয় ইরানী শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত ইরানী শাসক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাভিকে সমর্থনের অভিযোগ রয়েছে ইরানের। দূতাবাস জব্দের পর থেকে ৪৪৪দিন ধরে ৫২ আমেরিকানকে দূতাবাসটির ভেতর আটকে রেখেছিল তারা। দূতাবাসটিকে ‘গুপ্তচরদের আস্তানা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল ইরানীরা।