তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, সিরিয়া থেকে অন্য দেশ যতক্ষণ পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তুরস্কও সেনা প্রত্যাহার করবে না। তিনি বলেন, তুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সিরিয়ার কুর্দি গেরিলাদের একজনও তৎপর থাকলে তুরস্ক সেখানে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গত শুক্রবার এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত একজন সন্ত্রাসীও থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেখান থেকে সরে আসব না; এটি হচ্ছে একটি দিক। আর দ্বিতীয় দিক হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য দেশ সেনা প্রতাহার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরাও সিরিয়া থেকে সরে আসব না। আমরা সিরিয়ার ঐক্য ও সংহতি চাই; আমরা কখনো চাই না সিরিয়া ভেঙে যাক।’
এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, সিরিয়ার অখণ্ডতা রক্ষার জন্য যদি কোনো দেশ সেখানে সেনা মোতায়েন করে তাহলে তাদেরকে এ বিষয়ে প্রমাণ দিতে হবে। তিনি বলেন, রাশিয়া, ইরান কিংবা আমেরিকা কারো সাথেই সিরিয়ার সীমান্ত নেই।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেছিলেন, যারা আমাদেরকে বলেছিল ১২০ ঘণ্টার মধ্যে কুর্দি গেরিলাদের সীমান্ত থেকে প্রত্যাহার করা হবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি; বিষয়টি ট্রাম্পের সাথে টেলিফোন সংলাপে আলোচনা করা হয়েছে। সিরিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমেরিকা যে অঙ্গীকার করেছে, তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করছে না। আগামী ১৩ নভেম্বর ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে তিনি এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ৯ অক্টোবর সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্ক কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে আমেরিকা এবং রাশিয়ার সাথে এরদোগান চুক্তি সই করে যার অধীনে তুরস্ক সীমান্ত থেকে সিরিয়ার ৩২ কিলোমিটার ভেতরে কুর্দি গেরিলাদের সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়াশিংটন ও মস্কো। সে অনুযায়ী কুর্দি গেরিলারা সরে গেছে তবে তুরস্ক বলছে, প্রতিশ্রুতি মতো সব গেরিলা সরে যায়নি।