শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বুয়েট প্রশাসন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১০ দফা দাবির আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা।
অচলাবস্থার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষাপটে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করল বুয়েট প্রশাসন।
একই সাথে কোনো শিক্ষার্থী সামাজিক কোনো যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় বহন করতে পারবে না বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডক্টর এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বুয়েটে সকল রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং শিক্ষার্থীরা কোনো অনুমোদিত ক্লাব, সোসাইটি ব্যতীত অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের বা অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে বা এর কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই এ আদেশ মেনে চলতে হবে। কেউ অমান্য করলে অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে একইভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার না করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সর্বশেষ বুয়েটের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার, বিভিন্ন সময়ে র্যাংগিংয়ে জড়িতদের শাস্তি ও অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তির বিধান নীতিমালা আকারে প্রকাশ করার তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে প্রথম দফা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি দুই দফা পূরণ হলে একাডেমিক কার্যক্রমের ফিরবেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।