জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির চিত্তাকর্ষক বিজয়ে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তার সমর্থন চেয়েছেন। নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি এবিএম সারওয়ার ই আলম সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বার্তা অনুযায়ী, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই বিজয়কে প্রধানমন্ত্রী দেখছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতি বৃটিশ জনগণের বিস্ময়কর বিশ্বাস ও আস্থা হিসেবে। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা বিশেষ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে গণতন্ত্র ও সহনশীলতার অভিন্ন শক্তিশালী মূল্যবোধের ওপর, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো অভিন্ন অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে।
১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃটেনের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
কোনো রকম ক্ষতি ছাড়া পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বৃটেনের অটল প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করেন তিনি। এসব কিছুর ওর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাংলাদেশ সফর এবং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বৃটেনের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার, মর্যাদা, নিরাপত্তা ও টেকসই একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে নিজেদের দেশে ফিরতে পারবেন। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ, যাতে রোহিঙ্গাদের ন্যাবিচার নিশ্চিত হয়।
এ সময় বৃটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমুখী সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বাণিজ্য, বিনিয়োগের সহযোগিতার ভিত্তিতে। এর উদ্দেশ্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন বৃটেনের নেতৃত্বের প্রতি নতুন ম্যান্ডেট দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। অভিন্ন স্বার্থ ও মানবতার স্বার্থের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।