প্রয়োজন হলে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে কিছু পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর প্রথম প্রকাশ্য রালিতে এ নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর উদ্বেগের বিষয় মাথায় রেখে এই আইনের ধারাগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে। ঝাড়খন্ড রাজ্যের গিরিদিহ’তে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওই র্যালিতে অমিত শাহ বলেছেন, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ও তার মন্ত্রীদের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছে শুক্রবার। তারা যে সমস্যা মোকাবিলা করছেন, সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। আমি তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, এতে কোনো ইস্যু নেই।
যখন তারা আইনে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করলেন, তখন আমি তাদেরকে বড়দিনের পরে সাক্ষাত করতে বলেছি। তাদেরকে নিশ্চিত করেছি যে, এ বিষয়ে আমরা গঠনমুলক আলোচনা করবো এবং মেঘালয়ের সমস্যার সমাধানে আসবো।
দিনের শেষের দিকে তিনি ধনবাদে আরেকটি র্যালিতে বক্তব্য রাখেন। সেখানে অমিত শাহ বলেন, যখন আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন বিল উত্থাপন করি, তখন দেখে মনে হয়েছিল কংগ্রেসের ‘স্টমাকে’ ব্যাথা শুরু হয়েছিল। অনেক বছর ধরে অন্য দেশগুলোতে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার মানুষগুলো (ভারতে) শরণার্থীর মতো বসবাস করছিলেন। তাদেরকে কি নাগরিক করা উচিত নয়? প্রশ্ন রাখেন অমিত শাহ। তিনি আরো বলেন, কংগ্রেস বলে আমরা মুসলিম বিরোধী। আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন বিল এনেছি। আর তারা উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সহিংসতা উস্কে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় থাকার সময়ে কংগ্রেস হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করেছে বলে অভিযোগ করেন অমিত শাহ। বলেন, তারা নক্সালদের উৎসাহিত করেছে। সন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করেছে অতীতের কংগ্রেস সরকার। অমিত শাহ আরো যোগ করেন, বিজেপি সংবিধান থেকে ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা বাতিল করেছে। ফলে জম্মু ও কাশ্মীর এখন ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।