ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা করে একই পরিবারের পাঁচ শিশুসহ নয়জনকে হত্যার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী এখন এটিকে ‘ভুল’ হিসেবে বর্ণনা করছে। গত নভেম্বরের ওই হামলায় ওই পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আরো অনেক ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছিল।
১৪ নভেম্বর ফিলিস্তিনের গাজা সরকারের কর্মকর্তা রাসমি আবু মালহৌসে ও তার ভাই মোহাম্মদের বাড়ি লক্ষ করে এ হামলা চালানো হয়।
দেইর আল-বালাহ এলাকায় এ হামলায় সাওয়ারকা পরিবারের নয় সদস্য নিহত হয়েছিল। নিহত হয়েছিলেন রাসমি, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম এবং তিন মাস, তিন বছর ও ১২ বছর বয়সী তাদের তিন সন্তান।
এ হামলায় আরো নিহত হয়েছিলেন মোহাম্মদের স্ত্রী ইউসরা এবং তাদের সাত ও ১৩ বছর বয়সী দুই ছেলে। হামলায় আহত মোহাম্মদ পরবর্তীতে ২২ নভেম্বর মারা যান।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনী ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের মধ্যকার সীমান্তবর্তী দুই দিনের ওই সংঘর্ষে ইসরাইলি বিমান হামলায় মোট ৩৪ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছিলেন। অপরদিকে গাজা থেকে ছোড়া রকেটে ৬৩ জন ইসরাইলি আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
ইসরাইলি আরমি বলছে, তারা ফিলিস্তিনী ইসলামিক জিহাদ সশস্ত্র গ্রুপের এক কমান্ডারের বাড়ি লক্ষ করে এ হামলায় চালিয়েছিল।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের কাছে খবর এসেছিল যে, বাড়িটিতে ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের মিলিটারি কম্পাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘সাধারণ নাগরিকরা তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে এর বিপক্ষে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সেনাবাহিনীর তদন্তে পরবর্তীতে জানা যায় যে, ভবনটিতে মিলিটারি কর্মকাণ্ড চালানো হলেও এটি কম্পাউন্ড ছিল না। বাস্তবতা হলো, এখানে সাধারণ নাগরিকরা বসবাস করতেন।
সূত্র : আলজাজিরা