গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিশুকন্যাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে নিহতের সৎ বাবাকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম মশিউর রহমান (৪৫)। তিনি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বানিয়ারপুল কাচারিবাড়ি গ্রামের মৃত কালা তছিরের ছেলে।
কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল হোসেন ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় ছয় বছর আগে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বানিয়ারপুল কাচারিবাড়ি গ্রামের মজির আলীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রূপালী বেগমের সাথে একই গ্রামের মশিউর রহমানের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
বিয়ের পর রূপালী তার প্রথম সংসারের মেয়ে স্বর্ণা আক্তার (১০) ও ছেলে রুবেল হোসেনকে (১৮) নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরের আহমদ নগর চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। রূপালী ও রুবেল স্থানীয় এক পোশাক কারখানায় চাকুরী করে। স্বর্ণা স্থানীয় আব্দুল্লাহ মডেল পাবলিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
টাকা-পয়সা ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হয়ে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। এরপর রূপালী তার কর্মস্থলে চলে যায়। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা ঘরের একটি কক্ষে স্বর্ণার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে নিহতের সৎ বাবা মশিউর পলাতক থাকে।
এঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে ঘাতক সৎ বাবা মশিউরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মশিউর পুলিশের কাছে শিশু স্বর্ণাকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।