মধ্যপ্রাচ্যে জাপানি জাহাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যুদ্ধজাহাজ ও টহল বিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে টোকিও। দেশটির তেলবাহী জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করতে একটি হেলিকপ্টার সজ্জিত ডেস্ট্রয়ার ও দু’টি পি-৩সি টহল বিমান মোতায়েনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্কটময় মুহূর্ত তৈরি হলে বিপদ থেকে নিজেদের জাহাজের সুরক্ষায় বাহিনীকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেবে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, ‘জাপানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যে জাপানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট জাহাজগুলো যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।’
২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান। পূর্বসূরি ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে গত বছরের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্রাম্প। ওই বছরের নভেম্বর থেকে তেহরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। এর পর থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের মে ও জুন মাসে মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজে কয়েকবার হামলা হয়েছে।
এর মধ্যে জাপানের ট্যাংকার কোকুকা কারেজিয়াসও রয়েছে। এসব হামলার পর তেহরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যে জাপানি জাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তেল উৎপাদন ও পরিশোধনকারী সংস্থাগুলো। এক বিবৃতিতে জাপানের পেট্রোলিয়াম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাকাশি সুসুকোকা বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি অনিশ্চিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলে জাহাজগুলোর নিরাপদ যাত্রায় উপকৃত হবে।’