মির্জা ফখরুল বলেন, জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতার মূল চেতনাকে গড়ে তোলার জন্য। সেই লড়াইয়ে জাসদ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের ঠিক একই কথা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এসেও বলতে হচ্ছে যে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে চাই। বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক গভীর সংকট চলছে সেই সংকট সমাধানের জন্য জনগণের অভ্যুত্থান বা জনগণের আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এখন খালেদা জিয়া আইনগত জামিন পাওয়ার যোগ্য কিন্তু তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসেছে তারা জানে বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের যে রাজনৈতিক নীলনকশা সেটা তারা পরিপূর্ণ করতে পারবেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যে স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের গণতান্ত্রিক মুক্তি আসবে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, আমরা একটা স্বাধীন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে পারব।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার এই স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ। সেদিন তারা মানুষের অধিকার গুলো কেড়ে নিয়ে সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছিল। এখন আবার তারা ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন মুখোশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। আমাদের সংবিধান, শাসনতন্ত্র এগুলোকে তারা ভেঙেচুরে খানখান করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত আশা নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলাম। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সংগ্রাম জয় করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমরা পারিনি। কিন্তু আমাদের পারতে হবে, আমাদের আরও বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করতে। শুধু ঐক্যফ্রন্ট এবং অন্যান্য কোনো জোট নয় দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের লড়াই করতে হবে সংগ্রাম করতে হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।