আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে গুরুতর অসদাচারণের দায়ে প্রসিকিউটরের পদ হতে অপসারণ করা হয়েছে। রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অণুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচারণের দায়ে প্রসিকিউটরের পদ হতে তাকে অপসারণ করা হলো।
এর আগে গত ১১ই নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্তণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচারণের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বেগম তুরিন আফরোজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
২০১৬ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার আগে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। চিঠিতে ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন একটি মামলায় এক আসামির জামিনের জন্য প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনা হয় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। ওই চিঠিতে আরো বলেন, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে তার (মোহাম্মদ আলী) বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি ভঙ্গ এবং পেশাগত অসদাচরণের গুরুতর অপরাধের অভিযোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরি। এর আগে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের এক নোটিসে জানানো হয়, প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আলবদর শামসুল হক গং ও হোসেন তরফদারসহ ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও তাকে জানানো হয়েছিল।
তবে কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করে প্রধান প্রসিকিউটর লিখেছিলেন, জনস্বার্থে এই পদক্ষেপ। এর আগে ২০১৪ সালে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ নিজের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরির সন্দেহে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে মোহাম্মদ আলী আলোচনায় আসেন। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য মোহাম্মদ আলীও সে সময় পাল্টা জিডি করেন।