কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ও মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল আলম সাধন (৫০) দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খাইরুল আলম সাধন বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনশ্রী এলাকার নিজ বাসা থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে মুরাদনগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকায় এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে তার পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে সাধনের পরিচয় সনাক্ত করে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা অন্য কোনো স্থানে তাকে হত্যার পর সেখানে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফাপুর এলাকা থেকে খায়রুল আলম সাধনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বাম চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, কী কারণে কোন জায়গায় তাকে খুন করা হয়েছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
ঘটনার ক্লু উদ্ধারের মাধ্যমে অপরাধীদেরকে সনাক্ত এবং আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
নিহত সাধন (৫০) মুরাদনগর উপজেলার ভুবনঘর গ্রামের মৃত সুলতান মাহমুদের ছেলে। তিনি কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন।