ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় ছয় গণমাধ্যম কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নাজেহাল ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। অনেক গণমাধ্যম কর্মীর মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর পৃথক ভোটকেন্দ্রে এসব হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- অনলাইন নিউজ পোর্টাল আগামিনিউজ.কমের রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফটো এজেন্সি প্রেস বাংলা এজেন্সি (পিবিএ)-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্য জিসাদ ইকবাল, জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক মাহবুব মমতাজি, ডেইলি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদক নূরুল আমিন এবং পরিবর্তন ডটকমের ফটো সাংবাদিক ওসমান গনি।
সকালে মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হন সুমন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিকুঞ্জে জানে আলম স্কুল কেন্দ্রে জিসাদ ইকবালকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এসময় তার ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাদারটেক স্কুল কেন্দ্রে কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসানের ওপর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা শেখ হাসানের ক্যামেরার মেমোরি কার্ড নিয়ে যায়। এছাড়াও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামপুরার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দ্য ডেইলি স্টারের এক সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। পরে অবশ্য সেটি ফিরিয়ে দেন তারা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাজনীন স্কুল কেন্দ্রে মানবজমিন-এর এক নারী সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সরকার দলের নেতাকর্মীরা। পরে মোবাইলের ছবি ডিলিট করে সেটি ফেরত দেয় তারা।