বাংলাদেশে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার মানুষদের সাহায্য করতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রভাবশালী রিপাবলিকান মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি। সোমবার ফক্স নিউজে প্রকাশিত এক মতামত কলামে এ আহ্বান জানান তিনি। এতে বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় বৈষম্যতা রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা জোরদার করা প্রয়োজন বলে জানান এই সিনেটর। বলেন, ধর্মীয় বৈষম্যতার কারণে বিশ্বজুড়ে নানা সংস্কৃতি ও সমাজে নির্দোষদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে।
গ্রাসলি লিখেন, বিশ্বজুড়ে হামলার শিকার হচ্ছে ধর্মীয় স্বাধীনতা। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে নির্দোষদের প্রাণ। বিশ্বজুড়ে এসব নিপীড়ন ও সহিংসতা বন্ধের শুরু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন ইহুদি উপাসনালয়গুলোয় কী হচ্ছে।
আমার ধারণা, আমাদের এখানে কিছু মুসলিম-বিরোধী ও কিছু খ্রিস্টান-বিরোধী মনোভাব আছে। এসব পার হয়ে আসতে হবে।
তিনি রাশিয়া, বাংলাদেশ ও সুদানের মতো দেশগুলোয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে বাসরত মানুষ, যারা ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নিপীড়িত হচ্ছেন, তাদের সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টায় বাকি বিশ্বের জন্য একটি নৈতিক মানদণ্ড ঠিক করে দিতে হবে। যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই, সেখানে তা বাড়ানোর দাবি করাটাই আমাদের লক্ষ্য।
গ্রাসলি লিখেন, চীন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর নাগরিকদের নির্ভয়ে নিজের পছন্দের ধর্ম পালনের সুযোগ করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্য চুক্তির আশ্রয় নেয়া উচিত।এজন্য প্রস্তাবিত ও ভবিষ্যৎ চুক্তিগুলো ব্যবহার করে চাপ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্মক্ষেত্র ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য এসব চুক্তি আলোচনা ব্যবহার করেছে, তাহলে ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য কেন নয়? এ প্রসঙ্গে রিপাবলিকান সিনেটর বলেন, আমরা ইউএসএমসিএ ও বের হওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ নিয়ে যা করছিলাম ঠিক তেমনটাই করা যায়।
বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ধর্ম অবমাননা আইনকে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও এ সংক্রান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যম হয়ে ওঠেছে বলে কলামে মন্তব্য করেন গ্রাসলি। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশনকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এসব আইন অন্যায্যভাবে সরকারকে সত্য ও ধর্মীয় ন্যায়পরায়ণতার বিচারক বানিয়ে দেয়।