বিএনপির অভিযোগ, সকাল ১০টায় মিরপুর কাঁচাবাজারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য দেন। মিছিল শুরুর পরপরই পুলিশ অতর্কিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে মিছিলে নেতৃত্বদানকারী দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার এবং ছাত্রদল ঢাকা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম তুহিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
মিছিলে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের এই হামলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের এক নগ্ন উদাহরণ। এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে এটি পরিস্কার যে, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের পুলিশ এখন দলীয় কর্মীতে পরিণত হয়েছে।
দেশকে বানানো হয়েছে পুলিশী রাষ্ট্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী গায়ের জোরে জনগণের শোষকে পরিণত হয়েছে। তিনি পুলিশী হামলায় আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন এবং এধরণের হামলায় মনোবল না হারিয়ে আরও শক্তি নিয়ে প্রতিবাদী হওয়ার আহবান জানান।
এর আগে মিছিলপূর্ব এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে ভয়ানক অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরুপে অনিয়ন্ত্রিত। খালি পেটেই ১৫-২০ এর মধ্যে ডায়াবেটিস উঠানামা করছে। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না, দাঁড়াতে পারছেন না। এই অবস্থায় তাকে জরুরী ভিত্তিতে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসা করা না গেলে যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, দেশনেত্রীর মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিয়ে দল এবং তার পরিবার-পরিজনদের দাবিকে কোন পাত্তা দিচ্ছে না সরকার। দেশবাসী মনে করে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে তিল তিল করে নিঃশেষ করতেই বর্তমান সরকার ও সরকারপ্রধান ওঠে-পড়ে লেগেছে। দেশবাসী আরও মনে করে যে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তার মুক্তি ব্যতিরেকে মানুষের ভোটের অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কবরস্থ হয়েই থাকবে।