asianbangla.com

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    October 18, 2024

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024
    Facebook Twitter Instagram
    Trending
    • রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত
    • দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন
    • আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
    • করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ
    • ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই : ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনাল 
    • লন্ডনে রাইটস অফ দ্যা পিপলস এর ভারতীয় হাইকিমশন ঘেরাও কর্মসূচি
    • লণ্ডনে জিবিএএইচআর এর ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ
    • বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণমানুষকে সোচ্চার হতে হবে
    Facebook Twitter Instagram
    asianbangla.comasianbangla.com
    Demo
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • বিশ্ব
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • কূটনীতি
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • সংস্কৃতি
    • উচ্চশিক্ষা
    • প্রবাস
    • মানবাধিকার
    • মতামত
    • সারা বাংলা
      • ঢাকা
      • চট্টগ্রাম
      • রাজশাহী
      • খুলনা
      • বরিশাল
      • ময়মনসিংহ
      • রংপুর
      • সিলেট
    asianbangla.com
    Home»অর্থনীতি»টাকা চলে যাচ্ছে, কোনো অ্যাকশন দেখছি না
    অর্থনীতি

    টাকা চলে যাচ্ছে, কোনো অ্যাকশন দেখছি না

    By এশিয়ান বাংলাFebruary 29, 2020No Comments0 Views
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email
    দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা থমকে গেছে। চলমান ধারা থেকে অনেক দূর পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দেশীয় সমস্যা ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো মিলে বাংলাদেশ দোলাচলের মধ্যে আছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের জন্য অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো দেশের মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন। কিন্তু সরকারকে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর দিতে দেখা যায়। তবে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে যেমন দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের প্রতি সরকারের দৃষ্টি কম। তেমনি মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের সঙ্গে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের সামঞ্জস্যতা নেই।
    ফলে মানুষের মধ্যে দিনদিন বৈষম্য বাড়ছে, মানুষের জীবন যাত্রায় হতাশা বাড়ছে, কিন্তু তাদের জীবনমান বাড়ছে না।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সালেহউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বড় বড় গ্রোথ পার্সেন্ট এসবতো উন্নয়ন নয়। ৮ দশমিক ৪ সরকারের যে হিসেবগুলো করা হচ্ছে, এতে সঠিকভাবে মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের বিষয়টি কিন্তু প্রকাশ করে না। মানুষের মধ্যে দিনদিন বৈষম্য বাড়ছে, মানুষের জীবন যাত্রায় হতাশা কাজ করছে, তাদের জীবন মান অপেক্ষাকৃত ভালো বাড়ছে না। কিছু কিছু মানুষ আপনি দেখতে পারছেন যে, ঢাকায় বসে অনেকে পশ্চিমাদের লাইফ লিড করছে, আবার অন্যদের দেখেন তাদের কোন উন্নতি হচ্ছে না। তাদের সন্তানদের স্কুলে দিয়ে ভালো শিক্ষার মান পাচ্ছে না। এরপর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে দেখেন, যেটা দিচ্ছেন সেটা শুধু নামে মাত্র, স্বাস্থ্যে বাংলাদেশের মানুষদের সব চেয়ে বেশি খরচ হয়। এটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ব্যাপার। এভাবে শিক্ষা, কর্মসংস্থান সবখানে একই অবস্থা। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, আমরা করছি, কিন্তু কী করা হচ্ছে দৃশ্যমান নয়। আপনি শিক্ষিত তরুণদের জন্য কী করছেন? যারা বেকার, চাকরি পাচ্ছে না তাদের জন্য কী করা হচ্ছে? যারা ব্যবসা করতে চায় তারা ফান্ড পাচ্ছে না। শুধু সামাজিক নিরাপত্তার উদাহরণ দিচ্ছেন কিন্তু সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কোথায়? সেটাতো হচ্ছে না, হবেও না। কারণ, অসমতা বা অসামঞ্জস্যতার যে কারণটা সেটাতো আগে দূর করতে হবে। যেমন ব্যাংকের ঋণ সবার কাছে তো যাচ্ছে না কিছু লোকের কাছে যাচ্ছে। তারপর যারা ব্যবসা করছে কিছু লোক সুযোগ পাচ্ছেন অন্যরা পাচ্ছে না। এরপর স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল এগুলো যাদের রাজনৈতিক প্রভাব আছে তারা করছে। সুতরাং দিনদিন যে অসমতার অবস্থা তৈরি করছেন সেখানে হঠাৎ করে উপর থেকে সমস্যা সমাধান হবে না। স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, যেকোন টেকসই উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হলো গণতন্ত্র এবং সুশাসন। এটা ছাড়া কোন উন্নয়ন উন্নয়নই নয়। সেটাকে আমরা টেকসই উন্নয়ন বলতে পারবো না। হতে পারে কিছু উন্নয়ন কিন্তু গণতন্ত্র ও সুশাসন ছাড়া সেটা টেকসই হয় না। যেমন আর্জেন্টিনা, তারা ভালো একটি দেশ ছিলো কিন্তু টিকতে পারেনি, ব্রাজিলেরও একই অবস্থা। এখন অনেকেই চায়নাকে উদাহরণ দেয়। তাদের গণতন্ত্র আবার অন্যরকম। তারা অন্যভাবে জনগনের অংশগ্রহণ নিচ্ছে। সেটাও দেখবেন বেশ সুবিধা হবে না, আল্টিমেটলি তাদের ওপরে প্রভাব আসবে হয়তো সেটা এখন দেখবেন না। এরপর রাশিয়ায় উন্নয়ন হচ্ছিলো তারপর টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। এখন পুতিন ধরে রেখেছে, শক্তিশালী দেশ বলা যায় কিন্তু সেটাকে উন্নত দেশে বলা যাবে না। অর্থাৎ গণতন্ত্র ও টেকসই উন্নয়ন, এবং সমতাভিত্তিক উন্নয়ন হলো সামঞ্জস্যপূর্ণ। একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মানুষের যদি সরকারের প্রতি বিশ্বাস না থাকে, গণতন্ত্র যদি না থাকে তবে যেকোন সরকারের ভালো ইচ্ছাও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয় না, বিদ্রোহ দেখা যায়। একটা উদাহরণ হয়েছে প্যারিসে, সেখানে সামান্য ফুয়েলের ওপর টেক্স বাড়িয়েছে। এটা সে দেশের জন্য কিন্তু তেমন কিছু না। অথচ এতে সেখানকার মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। একটি দেশে মেট্রোর ভাড়া বাড়িয়েছে, ভালোর জন্য ভাড়া বাড়িয়েছে তবুও সেখানে জনগণ বিদ্রোহ করছে। সে বিদ্রোহ মেট্রোর বিরুদ্ধে নয়, সরকারের বিরুদ্ধে। এরকম হংকংয়ে একটা উদাহরণ আছে। সরকারের ভালো ইচ্ছাও কিন্তু তারা নিতে পারছে না, বিদ্রোহ করছে গণতন্ত্র না থাকার কারণে। মূল বিষয়টা হলো, মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন করছেন কি-না। আর এটা গণতন্ত্র ও সুশাসন ছাড়া কোনভাবেই পারবেন না। বলা হচ্ছে গণতন্ত্র আছে। তো কে বলেছে যে গণতান্ত্রিক সরকারের সুশাসন থাকবে না। গণতন্ত্র না থাকলেতো সুশাসন থাকবে কি করে। গনতন্ত্র নেই জন্যই সুশাসন নেই।

    তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন তখনই হবে যখন দারিদ্রমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। এমনভাবে ডেভেলপমেন্ট করবেন যাতে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম সেই ফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু এমন কোন আভাস দেখা যাচ্ছে না। আপনি চলে গেলে আপনার ভবিষ্যত প্রজন্ম কী করবে আপনি নিজেও তা জানেন না। কোন সুরক্ষা নেই, শুধু কিছু বিত্তবান লোক ছাড়া। আর এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য প্রচুর অর্থও লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশে এতো অর্থ পাবে কি-না। অতএব আমি মনে করি, এসডিজির জন্য সবগুলো গোলের দিকে না গিয়ে বরং সামাজিক কতগুলো বিষয় আছে যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বৈষম্য দূর করা। সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি আয় বাড়ানো। এসব কাজগুলো আগে করতে হবে।

    অন্যদিকে, আমাদের শুধু রেমিটেন্স আয় বাদে অন্য সবগুলো সূচক নিম্নমুখী। এখনো সময় আছে আমাদের এই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণ মানুষের কনফিডেন্সও নিতে হবে। তাদেরকে বুঝিয়ে সবকিছু করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন বুঝে যে, এটা আমার ভালোর জন্য করা হচ্ছে। তাছাড়া কিন্তু সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তারা জানেন না যে, তাদের জন্য কী করা হচ্ছে। মানুষ এখন উদাসিন, তারা রাস্তায় হেঁটে আর ব্যানার ফেস্টুনের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের মনের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, যেটা তারা প্রকাশও করতে পারে না। এমন হলেতো হবে না, কারণ মানুষই যদি আপনার সঙ্গে না থাকে যতো বড় সদিচ্ছাই থাকুক সেটা আপনি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।

    ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার চিন্তা ছিলো সরকারের। চলতি অর্থবছরের সাড়ে সাত মাসেই সরকার ঋণ নিয়েছে ৫২ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। আর সব মিলিয়ে চলতি বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক খাত থেকে নেয়া সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেট বাস্তাবায়নের জন্য সরকার ঋণ নিয়ে থাকে। কিন্তু এবার যেটা হয়েছে যা টার্গেট হয়েছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি দাঁড়িয়েছে। এর মূল কারণ হলো, রাজস্ব আয় কমে গেছে। একদিকে, আবার সরকারের খরচ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে যে খরচ, সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দেয়া। এছাড়া বিভিন্ন কারণে সরকারের খরচ বেড়ে গেছে। এতে বিশেষ করে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে।

    এর ফলে প্রাইভেট সেক্টরকে ব্যাংকগুলো যে ঋণ দেয় সেটার ক্ষমতা হ্রাস পাবে। অথচ প্রাইভেট সেক্টরই কিন্তু আমাদের গ্রোথ, প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে মূল চালিকা শক্তি। আর সরকারি বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো থেকে বেনিফিট আসতে অনেক সময়ের ব্যাপার, প্রায় ৫ থেকে ১০ বছররের আগে আসবে না। তো এরইমধ্যে যে ইম্পেক্ট পড়বে তাতে সব বেসরকারি খাতে ঋণ কমবে, কর্মসংস্থান কমে যেতে পারে, এছাড়াও মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে। আর ব্যাংকাররাও দেখে যে কোন ঝামেলা ছাড়াই চুপচাপ বসে থেকেই সরকার থেকে সেটা রিটার্ন পাচ্ছে। শিল্প খাতে ঋণ দিতে ব্যাংকারদের তৎপরতা দেখা যায় না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, প্রাইভেট সেক্টরে ঋণের প্রবাহ কমে যাচ্ছে। অপরদিকে, আবার ডিপোজিট অনেক কমে যাচ্ছে। আর সরকারের সুদের হার যেটা এপ্রিল মাসে কার্যকর হবে কিন্তু ব্যাংকগুলো এখন থেকেই এটা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকারদের ওপর যে চাপ পড়বে সেটা হলো তাদের যে প্রফিট রেট, ঋণ দেয়ার সক্ষমতা সেটা কমে যাবে।

    তিনি বলেন, খেলাপি ঋণে ব্যাংকের যেটা হচ্ছে এখন যে পজিশনে আছে সেটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বলবো যে, ব্যাংকিং সেক্টরটা চরম দুরাবস্থার মধ্যে আছে। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া মানেই হলো- ব্যাংকের যে ঋণ আটকে গেছে, এই ঋণগুলো অন্য প্রডাক্টিভ খাতে গেলে আবার রিটার্ন আসতো। ব্যাংকের ইনকাম বাড়তো, যারা শেয়ার হোল্ডার তাদের ইনকাম বাড়তো।

    বিদেশে টাকা পাচারের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে এতে বোঝা যাচ্ছে যে, আমাদের ব্যাংককিং সেক্টরে, আর্থিক খাতে সুশানের অভাব। এখানে যে নিয়মনীতিগুলো আছে সেগুলো পরিপালনের অভাবে এগুলো হচ্ছে এবং এখানে সুপারভিশন মনিটরিংয়েরও যথেষ্ট ঘাটতি আছে। না হলে দিনের পর দিন লোকজন নানা ভাবে এই টাকাগুলো নিয়ে যেতে পারতো না। আর টাকাগুলো নিয়ে যাচ্ছে জেনেও কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখছি না। শুধু দেখছি যে, কিছু লিস্ট বেরিয়েছে, কিছু নাম বেরিয়েছে কিন্তু এখানে বিশেষ করে বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে, এসিসি আছে, সিআইডিও এটি নিয়ে ডিল করে, এদের জানাও আছে কিছু কিছু যারা টাকা নিয়ে গেছে,  কিন্তু এদের ব্যাপারে কঠোর যে পদক্ষেপ নেয়া তা দৃশ্যমান নয়। এদেরকে ধরে ধরে শাস্তি দিতে হবে, কারণ শাস্তির বিকল্প কিন্তু কোন কিছু হয় না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও নতুন করে উৎসাহ পায়। আর টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটা আরও কঠিন। এটা সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। মানি লন্ডারিং, ফাইন্যানন্স ফর টেররিজম, ফাইন্যান্স ফর প্রস্টিটিউশন, বোর্ডার স্মাগলিংসহ অনেক অপরাধ হয়। এগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশকে আমি দেখছি না, যে স্টেট টু স্টেট, এটা একদম ঢালাওভাবে ৫০ টি দেশের সঙ্গে করতে পারে না, ওয়ান টু ওয়ান পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু কোথায় বেশি যাচ্ছে- সিঙ্গাপুর, তখন তাদের সঙ্গে আলাপ, মালয়েশিয়াতে যাচ্ছে ওটা নিয়ে আমরা কোন অ্যাকশনই দেখছি না, আমেরিকাতে যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে ব্যবস্থা দেখছি না, ইন্ডিয়াতে বহু টাকা চলে যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে কোন অ্যাকশান দেখছি না। তো ওয়ান টু ওয়ান ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একবারেই যে হচ্ছে না তা নয়, তবে সেগুলো খুব দুর্বল, একবার নিয়ে বসে থাকে তারপর আর কোন ফলোআপ অ্যাকশান নেয় না।

    তিনি বলেন, এইযে আমাদের নিজস্ব এতগুলো টাকা বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বিশাল অংশ যেটা দিয়ে বিনিয়োগ করা যেতো, আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করা যেতো সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। একদিক থেকে আমরা অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি অন্যদিকে এই অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করে যে লাভ হতো, এ থেকে কর্মসংস্থান হতো সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। সুতরাং দু’দিক থেকেই আমরা বড় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। আর যখন বিদেশে টাকা পাচার হয়ে যায় তখন কিন্তু আমাদের গভর্নেন্স ইকোনমিক মনিটরিং সেটা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন বাইরে থেকে যারা ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে আসতে যাবে তখন তারা সাবধানতা অবলম্বন করবে। আর আমাদের যে ভালো সৎ ব্যবসায়ী তারাও লেবেল প্লেইং ফিল্ডে কাজ করতে পারবে না। যারা স্থিথিশীল ব্যবসা চায়, ইন্ডাস্ট্রি চায় তাদের জন্য কিন্তু ব্যবসার পরিবেশ দিনদিন ডিফিকাল্ট হয়ে পড়ছে।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
    এশিয়ান বাংলা

    Related Posts

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024

    Comments are closed.

    Demo
    Top Posts

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 202493

    সেনা হত্যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা

    March 1, 202466

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 202441

    বাংলাদেশ নতুন নির্বাচনের দাবীতে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানব বন্ধন

    February 19, 202437
    Don't Miss

    রফিকুল টাওয়ার হ্যামলেটসের পাবলিক গভর্নর হিসেবে পুনঃনির্বাচিত

    By এশিয়ান বাংলাOctober 18, 20242

    স্টাফ রিপোর্টার  টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্য ইস্ট লন্ডন ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে (ইএলএফটি) তাদের পাবলিক গভর্নর হিসেবে রফিকুল…

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে লন্ডনে ইআরআইয়ের মানববন্ধন

    October 1, 2024

    আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি এবং এটুআইসহ দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা

    August 20, 2024

    করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ইআরআইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

    July 9, 2024
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    Demo
    Facebook Twitter Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp TikTok
    © 2025 AsianBangla. Designed by AsianBangla.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Go to mobile version