উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় এক বিমান হামলায় ৩৩ জন তুর্কি সৈন্য নিহত হবার পর একে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঘটনার পরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান আঙ্কারায় এক উচ্চপর্যায়ে নিরাপত্তা বৈঠক করেন এবং তুরস্কের বাহিনী সিরিয়ার ২০০টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর স্থল ও বিমান হামলা শুরু করে । এতে ৩০৯ জন সিরিয়ান সৈন্যকে ‘নির্মূল’ করা হয়েছে এবং ৫টি হেলিকপ্টার, ২৩টি ট্যাংক, ২৩টি হাওইটজার এবং দুটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে তুরস্ক দাবি করছে।
সিরিয়ার ব্যাপারে এত বেশি জড়িয়ে পড়ার কারণ:
প্রথমত: সিরিয়ার সাথে তুরস্কের দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এ ছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কট্টর বিরোধী। ফলে সিরিয়ার থেকে পালানো মানুষজন তুরস্ককে তাদের স্বাভাবিক গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছে।
আরো একটি গভীর কারণ: সিরিয়ায় যে কুর্দি জনগোষ্ঠী আছে তারা যেন বাশার আসাদবিরোধী বিদ্রোহের সুযোগে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে – সেই চেষ্টা করে চলেছে তুরস্ক। কারণ আঙ্কারার ভয়, এর ফলে তুরস্কের ভেতরকার কুর্দি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্রোহের উস্কানি তৈরি হবে।
তাই তুরস্ক চায়, সীমান্ত এলাকা থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে অন্য প্রায় ২০ লাখ সিরিয়ানদের সেখানে পুনর্বাসিত করতে। বিবিসি।