স্টাফ রিপোর্টার :
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, দেশের বাহিরে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ জুন এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচিতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মী নেতৃবৃন্দ, জোনাল কমিটির নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আবারো গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় প্রমাণিত হলো অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না হলে তার জীবন হুমকিতে পড়বে। তাঁকে অবিলম্বে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ও যৌথ মেডিকেল বোর্ড বসে বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ তারা একমত পোষণ করে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যদি বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত দেশের বাহিরে না নেওয়া হয় তাহলে উনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। যাহা বাংলাদেশের চিকিৎসার মাধ্যমে উনাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে না। তিনি আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে রিং পরানোর পর হার্টের সমস্যা থেকে সাময়িকভাবে রেহাই পেয়েছেন।
উক্ত সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, উপদেস্টা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহ সভাপতি গোলাম রব্বানীর সোহেল, কাজী ইকবাল হোসেন দেলোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আহমেদ, সালেহ আহমেদ জিলান, টিপু আহমেদ, সহ দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক লিটন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া,যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. আমির হোসাইন সরকার প্রমুখ।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন মশিউল হোসেন খান, মো. আবু বকার সিদ্দিক, মো. শাহাদাত হোসাইন, এ এ ওয়াহিদুল ইসলাম, শেখ দেলোয়ার হোসেন, মো. আল আমিন, নন্দন কুমার দে, মো. শাহরিয়ার ওয়াহিদ, মো. সেলিম রেজা, মো. দেলোয়ার হোসাইন, শেখ আবদুল্লাহীল রাব্বি, সাকিব হাসান শান্ত, মামুন হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুল আলিম, মোঃ বদরুল ইসলাম, মো. পারভেজ মিয়া সুজা, মোঃ সাইফুর রহমান, মোহাম্মাদ রিফাত মাহমুদ ভূইয়া, মো. মিজানুর রহমান ফরমান, রুবেল আহমেদ, মোহাম্মদ হাছানুল করিম, মো. ইফতেখারুল ইসলাম, এম এ হাসনাত, শাহ আলী নেওয়াজ, এসএমকিউ ইনতিসার, হামিম চৌধুরী, মোহাম্মদ কামরুল হাসান রাকিব, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, লন্ডন সিটি যুবদলের মোঃ সাইফুর রহমান, মুনতাসির মুবিন প্রমুখ।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির আহমেদ শাহিন বলেন, ডাক্তারদের রিপোর্ট অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার একটা মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে। হাসপাতালে থাকতে থাকতেই তার আরেকটা উপসর্গ ধরা পড়ে। সেটা হচ্ছে তার সাফোকেশন শুরু হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তখন ডাক্তাররা বিলম্ব না করে তার এনজিওগ্রাম করান। তিনি আরও বলেন, এনজিওগ্রাম করে দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেইন আর্টারিটা ৯৯ পারসেন্ট ব্লকড। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সেখানে রিং পরানো হয়েছে। ডাক্তাররা আশাবাদী, এই ট্রিটমেন্টের ফলে তিনি আপাতত হার্টের যে সমস্যা, সেটা থেকে সাময়িকভাবে রিলিভড হয়েছেন।
যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন বলেন, দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হলেও সরকার সারা দেয়নি। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দরকার নেই বলে সরকার যে সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন, সেটা সঠিক হয়নি।
অ্যাডভোকেট মো. আমির হোসাইন সরকার বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার যদিও তারা অনির্বাচিতভাবে ক্ষমতায় আছেন। তারপরও আজ আমি যুক্তরাজ্য বিএনপির এই সমাবেশ থেকে এই অনির্বাচিত সরকারকে আবারও আহ্বান জানাতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাহিরে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা আবারও বলছি, সব দায় দায়িত্ব কিন্তু এই সরকারকে বহন করতে হবে।