স্টাফ রিপোর্টার
ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্নাদের ষড়যন্ত্রে হত্যা ও নৈরাজ্য চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে, সাংবাদিক নিপীড়ন বন্ধ এবং সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবীতে সোমবার লন্ডনে বিবিসি হেড কোয়ার্টারের সামনে মানব বন্ধন করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (ইআরআই)।
ইআরআইয়ের সাধারণ সম্পাদক নওশীন মোস্তারি মিয়া সাহেবের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে মূল কার্যক্রম শুরু হয়। সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ ওসমান গনির পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইআরআইয়ের সহ-সভাপতি মোঃ রোকতা হাসান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ইআরআইয়ের সহ-সভাপতি হাসান আল জাবেদ।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইআরআইয়ের সহ-সভাপতি কাজল আহমেদ জালালী, জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহজান আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ ফাহিদুল আলম, জয়েন্ট সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম,মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমেদ সোহাগ, মাইনোরিটি রাইটস সেক্রেটারি তাহামিনা আক্তার, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ রনি, মাইনোরিটি রাইটস সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি ইরফানুল আলম নিশান, পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি মোঃ আশিকুর রহমান,ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি শাহিন আহমেদ,অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ ফজল আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কাজী মোহাম্মদ ইমদাদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আরিফ হোসেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জুনেদ আহমেদ,মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক ও ব্লগার মোছা: শাকিলা শারমিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি তাহিন ইসলাম,অন্যান মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফোরামের সহ-সভাপতি নোমান হাসনাত, স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস এর সেক্রেটারি মোঃ মিনহাজুল আবেদীন রাজা, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিসিটি সেক্রেটারি মোঃ ছাবিদ মিয়া, সাংবাদিক মাসুদুজ্জামান।
এছাড়াও উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি হানিফ রব্বানী, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ আশরাফুল আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তোফায়েল আহমেদ, সদস্য আব্দুল রশিদ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শিমুল, আরিফ হোসাইন, মোহাম্মদ আব্দুল মুকিত, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি সেক্রেটারি ইমদাদুর রহমান ফাহিম,জয়েন্ট সেক্রেটারি ও ব্লগার ইয়াস কাউসার, পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি মোঃ হাসনাত আল হাবিব প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক হাসান আল জাভেদ বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে গণবিপ্লবের কারণে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে সেই ফ্যাসিবাদী শব্দটি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মাধ্যমে সর্বপ্রথম তুলে ধরেছেন মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। কিন্তু ফ্যাসিবাদ বিতাড়ণের পরও আজকে মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করতে হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করার শামিল।
অথচ ১৫ বছর ধরে ভারতীয় আগ্রাসনের পক্ষে যেসব সাংবাদিক কলম ধরেছিল, গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল তাদের আইনের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। এজন্যই আওয়ামী লীগের ভাষায় বলতে হয় “এমন স্বাধীনতাই কি চেয়েছিলাম”।
মজলুম সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে খারিজ করার দাবি জানিয়ে হাসান জাভেদ বলেন, নতুন করে স্বাধীনতা পাওয়া দেশে আর যেন কোন সাংবাদিক মিথ্যা মামলায় কারাবরণ, হয়রানি, নির্যাতনের শিকার না হয়। ডক্টর ইউনুস সরকারকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে, নয়তো বাংলাদেশ সংস্কার সম্ভব নয়।
এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রনির হত্যা তদন্ত সহ ন্যায়বিচার দাবি করেন তিনি।
চরম নির্যাতনের শিকার ইআরআইয়ের সহ-সভাপতি কাজল আহমেদ বলেন বিগত সরকারের সময় আমি শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। আজকে ছাত্র জনতার বিপ্লবের ফলে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি ঠিকই কিন্তু এখনো আমি প্রতিনিয়ত জীবননাশের হুমকির সম্মুখীন।
সমাপনী বক্তব্যে উক্ত মানববন্ধনের সভাপতি মোঃ রোকতা হাসান বলেন দেশে চলছে একটা নৈরাজ্য। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আজকে মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের জীবন আজকে হুমকির সম্মুখীন। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্নাদের ষড়যন্ত্রে মজলুম বিশিষ্ট সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমানকে এই সরকার জেলে যেতে বাধ্য করেছে। আমরা অতিদ্রুত মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চাই। অন্যথায় এই সরকারের বিরুদ্ধেও তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।