শেহরিন আহমেদের পর শুক্রবার দেশে ফিরছেন কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আরও তিন বাংলাদেশি।
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেওয়া এই তিনজন নেপালের চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেয়েছেন আগেই। তবে বিমান ভ্রমণ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় তারা সড়ক পথে ফিরতে চাইছিলেন। তবে চিকিৎসকরা শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাতে রাজি হননি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র কামরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে মেহেদী, স্বর্ণা আর অ্যানির। বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ী মেহেদীর বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামে। স্ত্রী স্বর্ণাকে নিয়ে ফুপাতো ভাই ফারুক হোসেন প্রিয়কের পরিবারের সঙ্গে গত সোমবার ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ তে নেপাল যাচ্ছিলেন তিনি।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
মেহেদীদের পাঁচজনের দলের মধ্যে তিনজন বেঁচে গেলেও আলোকচিত্রী প্রিয়ক আর তার শিশু সন্তান প্রিয়ন্ময়ী তামারার মৃত্যু হয় ওই দুর্ঘটনায়।
বেঁচে যাওয়া দশ বাংলাদেশির মধ্যে কাঠমান্ডুর ওম হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রিজওয়ানুল হককে বুধবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে যান তার বাবা মোজাম্মেল হক।
আর ঢাকার স্কুল শিক্ষক শাহরিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ভাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরফরাজ আহমেদ।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, শেহরিন আহমেদের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। তার শরীরে পোড়ার ক্ষত রয়েছে; পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। এ কারণ এক ধরনের ট্রমা রয়েছে।
নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়াকুব আলীকে তার ভাই দীপু ব্যাপারি এবং কাঠমাণ্ডু মেডিকেলে থাকা ইমরানা কবির হাসিকে তার পরিবার দিল্লি নিয়ে যেতে চান।
তাদের মধ্যে ইয়াকুব ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেয়েছেন। কিস্তু রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসির অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়।
বাকি তিন বাংলাদেশির মধ্যে শেখ রাশেদ রুবাইয়াত ও কবির হোসেন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে এবং মো. শাহীন বেপারি ওই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।