বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তাকে মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজপথেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আনতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বিচারিক নির্যাতন শুরু হয়েছে। আগে জানতাম পুলিশের নির্যাতন নিপীড়ন, সরকারের অত্যাচার নির্যাতন। এখন শুরু হয়েছে বিচারিক নির্যাতন। সুপ্রিম কোর্টে এমন ছিল না। নীতি নৈতিকতা বলতে দেশে আর কিছু নাই।’
রোববার বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমীর মাওলানা রকিবউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘দেশে অত্যন্ত সংকটময় সময় যাচ্ছে। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থা। এটা বিশেষ কোন সময় নয় অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তাদের পতন অবসম্ভাবী। তাদের নির্ভর প্রশাসনের ওপর এটা কখনও হতে পারে না। এদের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। অধিকার আদায়ে তারা ঝাপিয়ে পড়বে। তারা ক্ষমতায় আছেন ঠিকই কিন্তু তারা সবাই জানেন তারা একটি দুর্বল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করা সম্ভব নয়।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন,‘বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি আছেন ঠিকই কিন্তু তার জনপ্রিয়তা অনেক বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের নেতাদের রাতে-ঘুম হয় না বেগম জিয়ার কথা চিন্তা করে। আমাদেরকে বলে আমরা নাকি একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছি। বিএনপির শক্তি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাদের অত্যাচার-নির্যাতন প্রশাসনের কারণে আজকে বিএনপি অনেক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ২৬ লক্ষ কর্মী যারা বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েছে তাদেরকে যদি দশগুণ করা হয় তাহলে দুই কোটি ৬০ লক্ষ। আওয়ামী লীগের কারণেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বাংলাদেশ থেকে কখনো নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। তাদের কারণেই বিএনপি থাকবে তাদের কারণেই আগামী শতাব্দী পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করে যাবে।’