সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সময় যত গড়াচ্ছে ততই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে ইরাক। ক্রমশই বাড়ছে বিক্ষোভের পরিধি। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার হারও বাড়ছে।
সপ্তাহের শুরুতে এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে।
সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আনাদোলু বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে রাজধানী বাগদাদ ও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিক্ষোভের সূত্রপাত। ক্রমশই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আহত হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি লোক।
শুক্রবার পর্যন্ত নিহতের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছে। যদিও তারা সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি।
আলজাজিরা জানিয়েছে, বিক্ষোভের মুখে রাজধানী ইরাকে শনিবার কারফিউ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। অন্য দিকে শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ অনেক বিক্ষোভকারী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। রাস্তায় অনেকে আহত হয়ে পড়ে থাকলেও কেউ তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে না বলে জানা গেছে, কারণ হাসপাতাল থেকেও গ্রেফতার করছে পুলিশ।
আর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালে রক্ত ও ঔষধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিক্ষোভাকারীরা দক্ষিণ ইরাকের আল দিবানিয়াহ শহরে প্রাদেশিক পরিষদের ভবনে হামলা চালায়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। দুর্নীতি বিরোধী এই বিক্ষোভের শুরু থেকেই বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদির পদত্যাগ দাবি করছেন। প্রায় প্রতিদিনই তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ।