ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। এটা কল্পনা করা যায় না। প্রতিদিন পত্রিকা খুললে পত্রিকার প্রতিটি পাতায় আমরা যে তথ্য পাচ্ছি এতে বুঝা যায় শুধু ঢাকা শহর না প্রত্যেকটি জেলা শহরেই নারী ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়। বুঝা যায় এদেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। এসব আইনশৃঙ্খলা অবস্থার ঘাটতি থাকার কারণে। আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে একটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে সেই ঘাটতি দেশের মানুষের জন্য এবং আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ধর্ষণবিরোধী এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদ রহমান মান্না, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সংবিধানে বলা আছে, এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে। জনগণের মতামত থাকবে।সংবিধানে যে মূল কথাগুলি স্বীকৃত আছে সেগুলোর মধ্যে যে দেশে আইনের শাসন থাকবে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে এসব বিষয়ে কারো তো কোন মতপার্থক্য থাকার কথা না। আমরা যে যেই দলই করি না কেন যদি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোনো মতামত যাচাই করা হয় তাহলে সবাই বলবে যে, সবকিছুর আগে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। আমরা তো কষ্ট করে এ দেশ স্বাধীন করেছি তার একটাই কারণ এদেশের জনগণ মালিকের ভূমিকায় থাকবে। এটা তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কিন্তু এদেশের জনগণ মালিক হওয়া সত্বেও তাদের বাদ দিয়ে সবকিছু করা হচ্ছে। আর এসব কথা বলতেও খারাপ লাগে শুনতেও খারাপ লাগে যে, আমাদের দেশের নারীরা আজ ব্যাপকভাবে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ সরকারের একটা ন্যূনতম দায়িত্ব দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। আমাদের এত কিছু অর্জনের পরেও বলতে খারাপ লাগে যে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আজ জনসভা করে দাবি করতে হয়। কিন্তু এটাতো দাবি করার বিষয় না। এখানে যত মানুষ আছে সবার একটাই দাবি করে যে আমরা যেন নিরাপদে থাকতে পারি, সারাদেশের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে।কিন্তু প্রত্যেকদিন পত্র-পত্রিকা খুললো দেখা যায় মানুষ জানমালের নিরাপত্তাটাই বেশি পাচ্ছে না।