চীনে করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে কমে এসেছে। ২৫ জানুয়ারির পর সেখানে বুধবার সবচেয়ে কম সংখ্যায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৯ জন। আগের দিনের ১৬৯৩ থেকে এই সংখ্যা অনেক কম। তবে বুধবার মারা গেছেন আরো ১০৮ জন। এ নিয়ে চীনে মারা গেছেন কমপক্ষে ২১০০। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৫০০। ওদিকে জাপানের ইয়াকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের বয়স্ক দু’জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী।
তাদের বয়স ৮০-র কোটায়। এ ছাড়া এদিন ইরানে মারা গেছেন দু’জন। ফলে চীনের বাইরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮। তবে ডায়মন্ড প্রিন্সেসের সংখ্যাকে এর সঙ্গে যোগ করলে দাঁড়াবে ১০। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়েছে, বুধবার করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কমে এলেও বিজ্ঞানীরা সতর্কতা দিয়েছেন যে, যেকোনো সময় তা ফ্লু’র মতো বিস্তার ঘটাতে পারে। চীনা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো আচরণ করছে বেশি। কোনো লক্ষণ না দেখিয়েই তা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হতে পারে। ওদিকে বুধবার এ নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা রিপিার্ট প্রকাশ হয়েছে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে। তাতে বলা হয়েছে, সেভার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) সহ অন্য করোনা ভাইরাসের মতো নয় নোবেল করোনা ভাইরাস। যদি এটা নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে তা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা বলেছেন, মিনেসোটার মায়ো ক্লিনিক ইন রচেস্টারের টীকা নিয়ে গবেষক ড. গ্রেগরি পোল্যান্ড।
ওদিকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ডায়মন্ড প্রিন্সেসে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সরকার যেভাবে মোকাবিলা করছে তার জন্য কড়া সমালোচনার মুখে রয়েছে জাপান। ওই জাহাজটিতে ৩৭০০ মানুষ গত ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন। সেখান থেকে কিছু মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাপান ও বিদেশী মিলিয়ে আরো ৬০০ জনকে নামিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বুধবার যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরকে তাদের নিজ নিজ দেশে আবার কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও হংকং। হংকংয়ের যাত্রীরা দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয়েছে নতুন করে সরকারি একটি হাউজিং এস্টেটে। সেখানে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার লোকদেরকে ডারউইনের বাইরে একটি পুরনো খনির ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।