এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে সাত শ বছরের পুরোনো একটি বটগাছ বাঁচাতে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিনব এ পদ্ধতিটি নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন করা শুরু করেছে।
এ বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মূলত উইপোকার আক্রমণ থেকে গাছটিকে বাঁচাতেই বন বিভাগ এ স্যালাইন দেওয়ার বিষয়টি মাথায় এনেছে। বন বিভাগ বলছে, বেশ কিছু স্যালাইনের বোতলে করে কীটনাশক মিশ্রিত ওষুধ বটগাছের বিভিন্ন শাখায় দেওয়া হচ্ছে।
কীটনাশক দেওয়ার ক্ষেত্রে স্যালাইনের বোতল ও পাইপ কেন ব্যবহার করা হচ্ছে, তারও কারণ বিবিসির কাছে ব্যাখ্যা করেছেন বন বিভাগের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তাঁদের ধারণা, এভাবে কীটনাশক দিলে তা ধীরে ধীরে শাখার ভেতরে পোকার কারণে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতস্থানে পৌঁছাবে।
সাত শ বছরের পুরোনো ভারতীয় ওই বটগাছটি তিন একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। ধারণা করা হচ্ছে, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বটগাছ; যা একটি পর্যটন স্পটও বটে। তবে গত ডিসেম্বর থেকে সেখানে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে গাছটির শাখায় তারা উইপোকার আক্রমণ লক্ষ করে। বন বিভাগের শঙ্কা, এখনই উইপোকার উপদ্রব বন্ধ করা না হলে পুরোনো এ গাছটি মারা যেতে পারে।
সেখানকার সরকারি একজন কর্মকর্তা পান্ডুংগা রাও বিবিসিকে বলেন, তাঁরা কীটনাশক দেওয়ার পাশাপাশি ওই গাছটি রক্ষা করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হলো ঝুলে যাওয়া বিভিন্ন শাখা যাতে মাটিতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য সিমেন্টের পিলার দিয়ে শাখাগুলোতে ঠেক দেওয়া ও গাছটির গোড়ায় সার দেওয়া।
অন্য এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, অনেক পর্যটক গাছটির বিভিন্ন শাখায় দোল খায়। এতে অনেক শাখাই ঝুলে পড়েছে। তাই শাখায় দোল খাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গাছটি সুস্থ হলে পুনরায় তা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।