এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির আদেশে এবার দেশটির পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাসভবনের নিরাপত্তা পুলিশ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রোববার বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসারের এ নির্দেশে গড়পড়তা ভিআইপিদের প্রহরা বাতিল করা হয়েছে। দেশজুড়ে সরকারি আমলাদের বাসা-অফিসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা ১৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির অভিযোগ, এসব পুলিশ সদস্য এমন ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছিলেন, যারা পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। ডন জানায়, এসব ব্যক্তির মধ্যে রাজনীতিবিদ, বিচারক, পুলিশ, সাংবাদিক, বিদেশি ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। বিচারপতির এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন নওয়াজকন্যা মরিয়ম নওয়াজ। বাবার ওপর জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের গৃহীত অভূতপূর্ব এ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আফতাব শেরপাও, জেইউআই-এফ প্রধান মওলানা ফজলুর রেহমান, এএনপি প্রধান আসফানদিয়ার ওয়ালি খান প্রমুখ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রদত্ত তথ্যানুসারে, পাঞ্জাব থেকে ৪ হাজার ৬১০ জন, সিন্ধু থেকে ৫ হাজার পাঁচজন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ৩ হাজার, বেলুচিস্তান থেকে ৮২৯ জন এবং ইসলামাবাদ থেকে ২৪৬ জন পুলিশ সদস্যকে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
এখতিয়ারবহির্ভূত ভিআইপিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করে দিতে ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার প্রাদেশিক ও ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধানদের নির্দেশ দেন। পেশোয়ার রেজিস্ট্রি পরিদর্শনকালে প্রধান বিচারপতি লক্ষ করেন, পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়ার এখতিয়ার রাখেন না- এমন ব্যক্তিদের বাসা ও অফিসে নিরাপত্তার দায়িত্বে বিশাল সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন। এরপর তিনি এসব পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারে বিভিন্ন প্রদেশের পুলিশপ্রধানদের নির্দেশ দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব ব্যক্তির নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া আজ পরবর্তী শুনানির আগে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়।
সরকারি এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় এক টুইট বার্তায় মরিয়ম বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী পরিবারের ওপর থেকে নিরাপত্তা প্রহরী ছিনিয়ে নেয়ায় আমার বাবা নওয়াজ শরিফ খুব সহজেই জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হতে পারেন। আল্লাহ মাফ করুন, আমার বাবার কিছু হলে প্রধান বিচারপতির ওপরই সব দায়ভার বর্তাবে।’