এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ অ্যান্টি-ডাম্পিংয়ের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু যথাযথ তথ্যের অভাবে বাংলাদেশ এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এতে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব মতামত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
বুধবার বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আয়োজিত ‘অ্যান্টি-ডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং অ্যান্ড সেফগার্ড মেজার্স’ শীর্ষক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. জহির উদ্দিন আহমেদ। প্রশিক্ষণে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও খাতসংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মো. জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, পাকিস্তান বাংলাদেশের হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। ভারতও কয়েকটি পণ্যে ডাম্পিং-সংক্রান্ত তদন্ত করছে।
স্বাগত বক্তব্যে কমিশনের বাণিজ্যনীতি বিভাগের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী বলেন, বিশ্বায়নের যুগে কোনো দেশের এককভাবে উত্পাদন ও বিপণনের ওপর কর্তৃত্ব ধরে রাখার সুযোগ নেই। সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে। এক্ষেত্রে এ প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশিক্ষণে কমিশনের যুগ্ম প্রধান রমা দেওয়ান অ্যান্টি-ডাম্পিং সম্পর্কে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা তুলে ধরেন। কাউন্টারভেইলিং ও সেফগার্ড নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন যথাক্রমে কমিশনের সহকারী প্রধান আব্দুল লতিফ ও গবেষণা কর্মকর্তা মহিনুল করিম খন্দকার।