এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলীয় নেতাকর্মীদের চাপের মুখে নিজ দল ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ( উমনো) ও বারিসান জোটের পদ থেকে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ করলেন মালয়েশিয়ার সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। শনিবার রাজধানী কুয়ালালামপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে নাজিব বলেন, এখন থেকে ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো)-এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. আহমাদ জাহিদ হামিদী। আর হিসামু্দ্দিন হোসেন থাকবেন ডেপুটি প্রধান হিসেবে। এছাড়া তিনি বারিসান জোটের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নাজিব বলেন, নির্বাচনে যা ঘটছে তার জন্য আমরা দুঃখিত তবে জনগণ যে রায় দিয়েছে তা আমরা মেনে নিয়েছি। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ন রাখব।
নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের জোটের কাছে পরাজিত হয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েন নাজিব রাজাক । তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি তহবিল লুটপাটের অভিযোগ করে আসছিল বিরোধী জোট।
নাজিব ও তার স্ত্রীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা : মালয়েশিয়ায় ব্যাপক কেলেংকারির মুখে পড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও তার স্ত্রী রোসমাহ মানসুরকে দেশ ত্যাগে শনিবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশটির নির্বাচনে নাজিবের জোট পরাজিত হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। অভিবাসন প্রধান একথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী এএফপিকে বলেন, ‘অভিবাসন বিভাগ নাজিব ও রোসমাহ’র দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।’
এদিকে নাজিব এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এই মাত্র আমাকে অবহিত করলো যে আমার ও আমার স্ত্রীর বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নেই। আমি এ সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। আমার পরিবারকে নিয়ে আমি দেশেই থাকবো।’
নাজিব ও রোসমাহ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যাচ্ছেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।