এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : অক্টোবরের শেষের দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা ও ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যেদিন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল হওয়ার উপযুক্ত সময় হবে সেদিনই তফসিল ঘোষণা করা যাবে। মঙ্গলবার কমিশনের ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে মেয়াদ শুরু হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ আছে। সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ হিসাবে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনের সময়সীমা শুরু হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কমিশন সভা শেষে তিন সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় তিনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালে ১০টি এবং রাজশাহী ও সিলেটে দুটি করে কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় কক্সবাজার পৌরসভার তিনটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া তিন সিটিতে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রচারণা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারগণ তিন সিটিতে গিয়ে প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন এ বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে না। বিদ্যমান ভোটার তালিকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার করার জন্য আলাদা কোনো আয়োজন থাকবে না। তবে যে কেউ যখনই ভোটার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে তাকে ভোটার করা হবে। তিনি বলেন, আগামী পহেলা মার্চ ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ পালনের জন্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ওই দিবস যাতে জাঁকঝমকপূর্ণভাবে উদ্যাপন করা হয় সে জন্য বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এখন থেকেই যাবতীয় প্রস্তুতি নেবে।
ইসি সচিব বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ভোটার হওয়ার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বছর যখন ভোটার তালিকা হালনাগাদ হবে তখন তাদের ওই পরিচয়ে ভোটার করা হবে। এতদিন তারা পুরুষ বা নারী পরিচয়ে ভোটার হয়েছেন। এ বছর তাদের আলাদা করা হবে না। কমিশন সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় অংশই আনসার সদস্য। এসব সদস্য যাতে ভালোভাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য নির্বাচন কমিশন তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। কমিশন সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।