এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে আজ ন্যূনতম গণতান্ত্রিক স্পেস নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এটা খুবই পরিতাপের কথা, আজ বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বিভাগ একটা ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের কাজ করছে। অত্যাচার-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘বুদ্ধিজীবী সমাবেশ’ পুলিশ বাতিল করায় সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়, অরাজনৈতিক একটি সংগঠনের সমাবেশ ছিল। সেটাকেও এই সরকার করতে দেয়নি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে ‘নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক একটি সেমিনার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। এজন্য সেমিনার কক্ষে ‘বুদ্ধিজীবী সমাবেশ’ শিরোনামে ব্যানারও টানানো হয়। ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরা অংশ নিতে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছিলেন।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে পুলিশ এসে বলে, এই অনুষ্ঠানের কোনো অনুমতি নেই। সমাবেশ করা যাবে না। অথচ পুলিশ সেমিনার করার জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছিল।
সেমিনার করার জন্য ২ জুলাই রমনা জোনের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদারের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল উল্লেখ করে জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লা-হিল মাসুদ বলেন, তখন তিনি (মারুফ হোসেন) কিছু বলেননি। ৪ জুলাই যোগাযোগ করা হলে মারুফ হোসেন সেমিনার আয়োজনের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে বলেন। যে কারণে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল।
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে আসলে আয়োজকরা বিষয়টি জানান। পরে গাড়ি থেকে নেমে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনার নিন্দা জানান।
এ বিষয়ে রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, বিএনপি বা অন্য কেউ রমনায় সেমিনার করার জন্য লিখিত বা মৌখিক অনুমতি নিতে আসেনি। এই কারণে হয়তো তাদের অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি।