এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : হিটলার-মুসোলিনির চেয়ে বড় সম্রাট ভারত শাসন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতা ছাড়া করার শপথ নিয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোদির দল বিজেপি ১০০ আসনও পাবে না বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি। শনিবার কলকাতার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের ময়দানে আয়োজিত বিশাল জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। নিহত সেই রাজনৈতিক সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মের পর থেকে শহীদ সমাবেশ পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শহীদদের স্মরণে শনিবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের আহ্বানে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়। এ জনসভায় কয়েক লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মমতা।
মমতা বলেন, ‘ভারতে হিটলার-মুসোলিনির থেকেও বড় সম্রাট এসে গেছে। ওদের হাতে দাঙ্গার রক্ত লেগে আছে। ওদের ঔদ্ধত্য, অত্যাচার মেনে নেয়া যায় না।’
দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তালেবানি সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তোলে মমতা বলেন, ‘বিজেপি উগ্রপন্থা ও তালেবানি হিন্দুত্ববাদী কায়েম করছে। এ হিন্দুত্ববাদকে আমরা মানব না। ‘ওরা তলোয়ার হিন্দু, বোমা হিন্দু, গুলি হিন্দু।’
এ সময় দেশের মানুষকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি অটুট রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস বদ্ধপরিকর বলেও জানান মমতা ব্যানার্জি।
মহাসমাবেশে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। তিনি বলেন, আগামী বছর বিজেপি রাজ্য ছাড়া হয়ে যাবে।
আর শুধু এ রাজ্যেই নয়, উত্তর প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, উত্তরাখন্ডসহ ভারতে সব মিলিয়েও বিজেপি ১৫০-এর বেশি আসন পাবে না। শুক্রবারের অনাস্থা ভোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার পার পেয়ে গেলেও আগামী বছর পার পাবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’
তৃণমূল কংগ্রেস ১৫ আগস্ট থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে বলে জানান মমতা। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তি নিয়ে আগামী বছর ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে জনসভার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, পুজো শেষ হতেই ব্রিগেডের প্রস্তুতি শুরু হবে। ২১ জুলাইয়ের থেকে বেশি জমায়েত হবে সেই সভায়।