এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : প্রায় ৭ বছর পর প্রথমবারের মতো স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ২০১১ সালে স্থানীয় নির্বাচন হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে লড়াই করবেন প্রায় ৩৫ হাজার প্রার্থী। বিপরীতে আসন রয়েছে ১৮ হাজারের অধিক। চলমান যুদ্ধের কারণে কয়েকটি প্রদেশ থেকে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। দেশটিতে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এ নির্বাচন হবে। সিরিয়ার নির্বাচন কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছে। দেশটির একটি প্রথমসারির পত্রিকার বরাত দিয়ে বুধবার এ খবর জানিয়েছে এএফপি।
২০১৬ সালে সিরিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর দু’বছর আগে ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে আরও ৭ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ২০১১ সালে দেশটিতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গত ৭ বছরে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে সিরিয়া। যুদ্ধও প্রায় শেষের পথে। এমন অবস্থায় সিরিয়াকে নতুন করে গড়তে স্থানীয় নগর পরিষদের এ নির্বাচন জনগণ ও প্রতিনিধিদের দায়বদ্ধ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী মাসের এ নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন ‘হায়ার জুডিশিয়াল কমিটি ফর ইলেকশন’ এর প্রধান সুলাইমান আল কায়েদ জানান, নির্বাচনে লড়াইয়ের লক্ষ্যে ৫৫ হাজার ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্য থেকে ৩৪ হাজার ৫৫৩ জনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়েছে। আল কায়েদ জানান, স্থানীয় প্রশাসনের এবারের নির্বাচনে আসন রয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৮টি। গতবারের চেয়ে আসন কিছু বাড়ানো হয়েছে। ২০১১ সালে আসন সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার।
আল ওয়াতান পত্রিকা জানিয়েছে, এ নির্বাচনে বেশ কয়েকটি প্রদেশ থেকে আদৌ কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। এর মধ্যে রয়েছে- সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দেইর ইজ্জর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাসাকেহ ও দক্ষিণের দারা। এসব এলাকায় এখনও বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে সরকারি বাহিনী।