এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে দেশে কোনো নির্বাচনে হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচনে যেতে ফের ছয়টি শর্তও দিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলেন, শর্ত না মানলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ নির্বাচন হতে দেবে না। নেতারা সব ভেদাভেদ ভুলে সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা বক্তৃতা করেন। বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করে দলটি।
নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য যে শর্তগুলো দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ভেঙে দিতে হবে জাতীয় সংসদ। জাতীয় নির্বাচনের সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সামরিক বাহিনীকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
শনিবারের জনসভা ঘিরে সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের আনাগোনা শুরু হয়। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজধানী ছাড়াও গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ থেকেও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জনসভায় যোগ দেন।
দুপুর ১২টার দিকে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে হাজারও নেতাকর্মীতে ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ ভরে ওঠে। জনসভায় যোগদানকারী নেতাকর্মীদের হাতে দেখা যায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত ফেস্টুন ও ব্যানার।
‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখরিত করে তোলেন নেতাকর্মীরা। বেলা ২টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের ওপর বানানো অস্থায়ী মঞ্চ থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।
গণতন্ত্র রক্ষায় বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের উদ্দেশে বলেন, আসুন বিভেদ ভুলে কালবিলম্ব না করে গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। দেশনেত্রী কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে বলেছেন। সেই জাতীয় ঐক্য হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, যারা আজকে ঐক্য করছেন তাদের আমরা আহ্বান জানাই, আসুন আরও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি। যারা বুকের ওপর চেপে বসে আছে তাদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন আগে চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি নির্জন কারাগারের পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করছেন। তিনি ভীষণ অসুস্থ। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গণতন্ত্র ও বিএনপিকে ধ্বংস কারার জন্য তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। সাধারণ বন্দি যে সুবিধা পায় তিনি তাও পাচ্ছেন না। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। বারবার বলা সত্ত্বেও এই অবৈধ সরকার তা শোনেনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের কাছে ফরিয়াদ করতে চাই, যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, সেই গণতন্ত্রের জন্য আজ খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। স্বামী হারিয়েছেন, সন্তান হারিয়েছেন, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন, এক ছেলে নির্বাসিত। সেই জাতির কাছে তার এই কি প্রাপ্য? বুকে সাহস নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে দেখতে চাই না।
সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এর দায় আপনাদের নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সব সময় দুঃস্বপ্ন দেখেন। এই বিএনপি এলো, তারেক রহমান এলো, খালেদা জিয়া এলো। এই ভয়ে রাতে তাদের ঘুম হয় না। ২৪ ঘণ্টা শুধু বিএনপিভীতি, খালেদা জিয়াভীতি, তারেক রহমানভীতি। এ থেকে বাঁচার জন্য কত রকমের কারসাজি। এখন নিয়ে আসছে ইভিএম। যদি ইভিএম মেশিন তাদের রক্ষা করতে পারে! কারণ মানুষ তাদের রক্ষা করবে না। এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরে গেছে। এখন একটি দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে সরকার খুব বড়াই করে বলত- তরুণ-যুবকরা নাকি তাদের সঙ্গে আছে। এখন এই তরুণ-যুবকরা প্রতি মুহূর্ত চায় এই পাথর এই দুঃশাসন কবে যাবে। যখন কোমলমতি শিশুদের হেলমেট পরে নির্যাতন করছিল, তাদের মা-বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে।
এমনকি যাদের মা-বাবা খাবার দিতে গেছে তাদের পর্যন্ত কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আলোচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করে মারতে মারতে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেয়নি। সারা বিশ্ব বলছে, ছেড়ে দাও। তারা মুক্তি দিচ্ছে না। কারণ তার অপরাধ তিনি আল জাজিরায় বলেছিলেন- এ সরকার অবৈধ। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জোর করে ক্ষমতায় আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের জনসভা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ আবার জেগে উঠেছে। একাত্তরে যেভাবে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল, ’৯০-তে যেভাবে বুকের রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল। আজ আবার বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশমাতাকে ফিরিয়ে আনবে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই দশ বছরের শাসনামলে আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন, বহু নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। তাদের কোনো খোঁজ আমরা পাচ্ছি না। তাদের সন্তানরা বলে বাবার সঙ্গে ঈদ করতে চাই। তাদের বাবা-মা বলে আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিন। বোনরা বলে আমার ভাইকে ফিরিয়ে দিন। যারা গুম হয়েছেন, খুন হয়েছেন তাদের রক্ত ছুঁয়ে শপথ নিতে হবে আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করবই। গণতন্ত্রকে মুক্ত করবই। এই দুঃশাসনকে আমরা পরাজিত করবই।
কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি চাই। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার চাই। আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতা ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থায় রাখা হয়েছে। নতুন করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রী আগেই বলে দিচ্ছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানের সাজা হবে। আপনারা কি বিচারকের দায়িত্ব নিয়েছেন? তদন্ত করেছেন ঠিকমতো? আপনারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ তদন্তকে প্রভাবিত করেছেন। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ ধরনের ষড়যন্ত্রের রায় বাংলাদেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্তি দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সরকার রক্তচক্ষু দেখিয়ে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করছে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অতীতের কথা ভুলে গিয়ে ভালো হয়ে যান। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলছি, যারা ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা লুট করেছে, সোনা চুরি করেছে, কয়লা চুরি করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করুন। তারা যেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার প্রতারণা করেছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলতি শিশু-কিশোরদের ওপর তারা স্টিম রোলার চালিয়েছে। ৯৩ জনকে গ্রেফতার করেছে, ২৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে। এর মাশুল সরকারকে দিতে হবে। আগামী প্রজন্ম আর নৌকায় ভোট দেবে না। তারা জেনে গেছে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল।
তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে আইনিভাবে মুক্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। যখনই মুক্তির দ্বারপ্রান্তে আসি, তখনই সরকার অন্য মামলায় আটক দেখিয়ে জামিন বিলম্বিত করছে। তাই তাকে মুক্তির একমাত্র পথ রাজপথ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তাকে বাইরে রেখে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্যও হবে না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বাংলার ইতিহাস থেকে জিয়ার ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সমাবেশ করতে সরকার বিএনপিকে বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েছে। কাল (শুক্রবার) সারা রাত নেতাকর্মীদের বাসায়-বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে। এর পরও জনস্রোত ঠেকাতে পারেনি। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এটাকে সরকার ষড়যন্ত্র মনে করছে। ষড়যন্ত্র তো সরকার করছে, দুই নম্বর পথ ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র এখন গুম হয়ে গেছে। মা খালেদা জিয়া যদি জেলে থাকে সন্তানরা কিভাবে ঠিক থাকে। খালেদা জিয়ার মুক্তি অনিবার্য। আবার খালেদা জিয়ার মুক্তি দিলেই যে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কে বলল? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনকালীন সরকার নির্দলীয় হতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আপনি যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে পুলকিত হন তাহলে ধরে নেন, স্বল্প দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জেলেই আপনার দেখা হতে পারে। ফলে তা না করে তাকে মুক্তি দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। জনগণ যাকে চাইবে তিনিই সরকার পরিচালনা করবেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চলার পথে বাধা পেলে হাত চালাবেন। আত্মরক্ষা আপনার অধিকার।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না আওয়ামী লীগ। তাই ইভিএম ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। আগামী দিনে জনগণের সুনামিতে সরকারের সব যড়যন্ত্র ভেসে যাবে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, আমানউল্লাহ আমান, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ফজলুর রহমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন।
এছাড়াও ফজলুল হক মিলন, আলহাজ সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা জেলার দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, টাঙ্গাইলের শামসুল আলম তোফা, মুন্সীগঞ্জের কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগরের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ছাত্রদলের রাজীব আহসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ছাড়াও জনসভায় বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল হাসান ভুইয়া পিংকুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয়, অঙ্গসংগঠন ও পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জনসভা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শেষ হয়। সমাবেশ চলাকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের দুটি সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে আশপাশের এলাকায় গাড়ির জট ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে দুর্ভোগে পড়ে নয়াপল্টন এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ। এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে পল্টন মোড়, ফকিরেরপুল মোড়সহ এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।