এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ইউক্রেনের দনেতস্কের একটি কফিশপে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন দেশটির একজন প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। আলেকজান্ডার জাখারচেনকো নামের ওই নেতা দনেতস্কের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তিনি নিজেকে গণপ্রজাতন্ত্রী দনেতস্কের প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করেছিলেন। শুক্রবারের হামলায় ৪২ বছর বয়সে তিনি নিহত হন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, হামলায় গুরুতর আহত হন জাখারচেনকো। হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি নিহত হন।
এ হামলায় দনেতস্কের স্বঘোষিত ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার তিমোফেয়েভও গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় জাখারচেনকো ছাড়া আর কেউ নিহত হননি। এ হামলার পর আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কাউকে ঢুকতে কিংবা বেরুতে দেয়া হচ্ছে না। কার্যত সমগ্র এলাকাটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
রাশিয়া এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইউক্রেন সরকারকে দায়ী করে দেশটি বলেছে, এ হত্যাকা-ের জন্য তারাই দায়ী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিন এ হত্যাকা-কে কাপুরোষোচিত অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনই দায়ী দাবি করে বলেছেন, এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই হামলা হয়েছে। ক্রেমলিন থেকে পুতিন আরো বলেন, আশা করি যারা জাখারচেনকোকে হত্যা করেছে, তাদেরকে উপযুক্ত বিচারের মুখোমুখি করা হবে। রাশিয়ার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ হামলাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। উল্টো বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এ হামলা হয়েছে বলে দাবি করছে দেশটি।