এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : পুরুষ না নারী, কারা বেশি অলস? এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তা প্রকাশ পেয়েছে ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ জার্নালে। সেখানে ১৬৮টি দেশের ১৯ লাখ মানুষের ওপর গবেষণা পরিচালিত হয়। মূলত পৃথিবীর কোন দেশের মানুষগুলো শরীরচর্চা বিমুখ, তার ভিত্তিতেই অলসদের খুঁজে বের করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ গবেষণায় আরো জানানো হয়, উচ্চ-আয়ের দেশগুলোতে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় মানুষের পরিমাণ বেশি। এটাও দেখা যায়, নারীর তুলনায় পুরুষরা নিয়মিত ব্যায়াম করে বেশি। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি অলস।
গবেষণা আরো বলা হয়, ২০১৬ সাল নাগাদ প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ সুস্থ থাকার জন্যে যথেষ্ট শরীরচর্চা করেন না। ফলে তারা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এসব রোগের মাঝে রয়েছে ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সার। যারা সপ্তাহে দুই বার অন্তত ৭৫ মিনিটের জন্য ভারী ব্যায়াম, ১৫০ মিনিটের মাঝারী মাত্রার ব্যায়াম বা দুটোর মিশ্রণে ব্যায়াম করেন তাদেরই পরিশ্রমী বলে তুলে ধরা হয়েছে। সমস্ত হিসাব-নিকাশে দেখা গেছে, পৃথিবীর সবচেয়ে অলস দেশ কুয়েত। এখানে জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশই যথেষ্ট ব্যায়াম করেন না। তৃতীয় অবস্থানেই রয়েছে সৌদি আরব। এদের মাঝে প্রবেশ করেছে আমেরিকান সামোয়ারা।
শরীরচর্চায় সক্রিয় বা ‘অ্যাক্টিভ’ তাদেরকেই বলা হয় যারা সপ্তাহে দুই বার অন্তত ৭৫ মিনিটের জন্য ভারী ব্যায়াম, ১৫০ মিনিটের মাঝারী মাত্রার ব্যায়াম বা দুটোর মিশ্রণে ব্যায়াম করেন। এই দিক দিয়ে সবচেয়ে কম ‘অ্যাক্টিভ’ বা বেশি ‘অলস’ দেশটি হলো কুয়েত। এখানে জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশই যথেষ্ট ব্যায়াম করেন না। তৃতীয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব। সেখানকার ৫৩ শতাংশ মানুষই অলস। এদের মাঝে ঢুকে পড়েছে সামোয়া দ্বীপের মানুষরা। আবার পরিশ্রমী বা সক্রিয় মানুষের দেশের তালিকাও উঠে এসেছে। সবচেয়ে পরিশ্রমী মানুষের দেশ উগান্ডা। সেখানকার মাত্র ৫.৫ শতাংশ মানুষ অলস।