এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে এক বিজেপি নেতার পা ধুয়ে দেয়ার পর সেই নোংরা পানি পান করেছেন এক কর্মী। রোববার ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় বিজেপির এক প্রচারণা সমাবেশে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে ঝাড়খন্ডের বিজেপি দলীয় আইনপ্রণেতা নিশিকান্ত দুবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। খবর এনডিটিভির।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গোড্ডায় ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করে দুবে নিজের বক্তৃতা শেষ করার পর বিজেপি কর্মী পবন একটা পিতলের থালা ও একটা লোটা নিয়ে তার পায়ের কাছে বসে পড়েন। এরপর পবন নেতার পা ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দেন। পরে দাঁড়িয়ে উঠে থালায় থাকা পা ধোয়া পানি ভক্তি নিয়ে পান করেন পবন। এ সময় উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা ‘পবন ভাই জিন্দাবাদ’ বলে আওয়াজ তোলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সোমবার দুবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, তার প্রতি সমর্থকদের ভালোবাসাটা বুঝতে যারা অক্ষম তারাই তার সমালোচনা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে দুবে বলেন, ‘একদিন আমিও পবনের পা ধোয়ার সুযোগ পাব।’ পবন নামে ওই কর্মীকে কৃষ্ণের সঙ্গে তুলনা করে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কৃষ্ণ কি সুদামার পা ধুয়ে দেননি? কোনও কর্মী যদি ভালবেসে তাঁর পা ধুয়ে দেন, তাতে অন্যায়ের কী আছে?’’
আক্রমণ এসেছে রাজনৈতিক মহল থেকেও। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস নেতারা সাংসদের তীব্র সমালোচনা করেন। বহুজন সমাজ পার্টির নেতা সুধীন্দ্র ভাদোরিয়া বলেছেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্য চরম সীমায় পৌঁছেছে। এই নিশিকান্ত মোদীর ঘনিষ্ঠ। ক্ষমা চাওয়ার বদলে নিজেকে দেবতা মনে করছেন তিনি। মোদী-অমিত কি এই সংস্কৃতির কথাই বলেন? এটাই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ধৃতদের পক্ষে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণপিটুনিতে ধৃত চার জনের সমস্ত আইনি খরচ তিনি দেবেন। প্রশ্ন তোলেন, গোটা গ্রামের লোক পেটালেও শুধু চার জনকে কেন ধরা হবে? তাঁদের গরু চুরি গিয়েছিল বলেই কি?সমর্থকরা তাকে ভালোবাসে, তাই তারা এমন করেছে বলে যোগ করেছেন তিনি। কংগ্রেস ও মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) দুবের সমালোচনা করে বলেছে, ‘বিজেপি নেতাদের দাম্ভিকতা এখন চরম অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে।’