এশিয়ান বাংলা, মালয়েশিয়া : কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল হলেও ৩০ আগস্টের আগে যেসব বাংলাদেশি কাজের অনুমতিপত্র পেয়েছেন তাদের সবাই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ব্যবস্থা করবে দেশটির সরকার। বাংলাদেশকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে মালয়েশিয়া। এর ফলে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। জিটুজি প্লাসে বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের যুক্ত করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। একতরফা ও অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ওঠার পর ১ সেপ্টেম্বরের পর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বাতিল করে দেশটি। এ প্রেক্ষাপটে ২৫ সেপ্টেম্বর দুই দেশের কর্মকর্তারা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক করেন। অনলাইনে নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করার পর থেকে বাংলাদেশি কোনো কর্মীকে আর কাজের অনুমতিপত্র দেয়নি মালয়েশিয়া। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বরের আগে কাজের অনুমতি পাওয়া ৭০ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
বৈঠকে অংশ নেয়া বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই বৈঠকের দুটি দিক ছিল। প্রথমত, কর্মী নিয়োগের নতুন পদ্ধতি ঠিক করা। দ্বিতীয়ত, সে দেশে অনিয়মিত হয়ে পড়া বাংলাদেশের কর্মীদের বিষয়টি সুরাহা করা। এ ছাড়া অপেক্ষমাণ কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করা। অপেক্ষমাণ কর্মীদের মধ্যে ২০ হাজার কাজের অনুমতিপত্র পেয়েছেন। তারা মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদনও করে রেখেছেন। বাকি ৫০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া থেকে কাজের অনুমতিপত্র পেয়েছেন।
জালিয়াতি ঠেকাতে ভিসার নকশা পরিবর্তন : মালয়েশিয়ায় ভিসা জালিয়াতি ঠেকাতে ভিসার নকশা পরিবর্তন করছে অভিবাসন বিভাগ। মঙ্গলবার ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর জেনারেল দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী বলেন, ডিসেম্বর মাসে সম্পূর্ণরূপে নিযুক্ত হওয়া ডকুমেন্টগুলোকে হোলোগাম এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে আপগ্রেড করা হবে, যা ভিসা জালিয়াতি করলে সহজেই প্রমাণ করা যাবে। তিনি আরও যোগ করেন, সুরক্ষার মূল বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্বতন্ত্র রঙিন প্রিন্টগুলোতে হোলোগামের প্রয়োগ করা বিদেশিদের মালয়েশিয়ায় থাকার অনুমতিপত্র জালিয়াতির পক্ষে সহজ নয়, যা পূর্বে রিপোর্ট করা জালিয়াতির ঝুঁকি হ্রাস করে।