শিয়ান বাংলা ডেস্ক : ইসরাইলকে আর জমি ইজারা দেয়া হবে না। ইজারা দেয়া দুটো কৃষি এলাকাও ফিরিয়ে নেয়া হবে। নতুন এক আদেশে এ কথা বলেছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির আওতায় ওই কৃষি এলাকা দুটি ইসরাইলের কৃষকদের মালিকানায় রয়েছে। আগামী বছর এ ইজারার মেয়াদ শেষ হবে।
এরপর নতুন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না বলে জানিয়েছে বাদশাহ। বরাবরই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছিলেন জর্ডানের বেসামরিক সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা। বাদশাহ এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনগুলো। সোমবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও আলজাজিরা।
খবরে বলা হয়, রোববার এক আদেশে বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, জমি ইজারার ব্যাপারে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবেন না তিনি। বাদশাহর এ ঘোষণার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইজারার মেয়াদ বাড়াতে জর্ডানের সঙ্গে আলোচনা করবে ইসরাইল। তিনি বলেন, চলমান ইজারা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আমরা জর্ডানের সঙ্গে আলোচনা করব।
চুক্তি অনুসারে নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী ‘আল-ঘুমের’র ৪০৫ হেক্টর আবাদি জমি ইজারা নেয় ইসরাইল। সেই সঙ্গে জর্ডান ও ইয়ারমুক নদীর মিলনস্থল সংলগ্ন সীমান্তবর্তী ‘আল-বাকুরা’ অঞ্চলও ইজারা নেয়। ওই জমি দুটো ২৫ বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়। চুক্তিতে বলা হয়, কোনো পক্ষ এক বছর আগে নোটিশ না দিলে ওই চুক্তির মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়তে থাকবে। এই চুক্তির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হবে বৃহস্পতিবার।
বাদশা আবদুল্লাহ বলেন, আল-বাকুরা ও আল-ঘুমের নিয়ে শান্তি চুক্তির ইতি টানতে আমরা ইসরাইলকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, আল-বাকুরা ও আল-ঘুমের সবসময়ই আমাদের অগ্রাধিকারের দিকে উচ্চপর্যায়ে ছিল।
জর্ডান ও জর্ডানের জনগণের জন্য যা প্রয়োজন তার সবকিছু করতে এই শান্তি চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এই ?দুটি ভূখণ্ড জর্ডানের এবং তা জর্ডানের জনগণেরই থাকবে।
তবে ঠিক কবে ওই ভূখণ্ড দুটি জর্ডানের কাছে ইসরাইল হস্তান্তর করবে তা স্পষ্ট নয়। ১৯৯৪ সালে চুক্তি হলেও ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে এলাকা দুটো দখলে রেখেছে তেলআবিব।