এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজিত সমাবেশে বিপুল সংখ্যক লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সিলেটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোমবার একটি বৈঠক করেছে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সন্ধ্যায় আড়াই ঘন্টার এ বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালাচনা করেন নেতারা। বৈঠকে নেতারা আগামীকাল সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজিত সমাবেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সমাবেশে ব্যপক লোকসমাগমের পরিকল্পনা নেন তারা। এর বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জন্য গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি, সমন্বয় কমিটি নিয়ে উপস্থিত নেতাদের অবহিত করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে সমাবেশেকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান এরই মধ্যে সিলেটে অবস্থান করছেন।
বৈঠকে নেতারা জানান, জামায়াতকে বাদ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্যান্য ১৮টি দলকে সমাবেশে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে জোটের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে তারা এই সমাবেশকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একক সমাবেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে যেসব রাজনৈতিক দল নিজ উদ্যোগে সমাবেশে অংশগ্রহন করবে তাদেরকে নিরুৎসাহিত না করার বিষয়েও মত দেন তারা।
জানা গেছে, সিলেটের সমাবেশে এই জোটের কয়েকটি শরীক অংশগ্রহন করছে। এর মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ, সাম্যাদী দল রয়েছে। তবে এলডিপি, বিজেপি, কল্যাণ পার্টিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় তারা এই সমাবেশে যাবেন না। এর মধ্যে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ চিকিৎসার জন্য কাল সকালে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ জানান, এটা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নিজস্ব কর্মসূচি, ২০ দলীয় জোটের নয়। তাই এ সমাবেশে তিনি যাচ্ছেন না। খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের জানান, তিনি এই সমাবেশে অংশগ্রহন করতে সিলেট যাবেন। অন্য কে যাবেন তা তিনি জানেন না।