এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ১৯১২ সালের ভয়ঙ্কর স্মৃতিকে সরিয়ে ফের সমুদ্রে ভাসতে চলেছে টাইটানিক। নাম দেয়া হয়েছে ‘টাইটানিক-২’। ২০২২ সালের মধ্যেই সমুদ্রে সাঁতরাবে। এর প্রথম যাত্রা হবে চীনের জিয়াংশু থেকে দুবাই পর্যন্ত। ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
১০ লাখ ডলারের বেশি তার এক একটির দাম। অস্ট্রেলীয় ব্যবসায়ী ক্লাইভ পালমারের ব্লু স্টার লাইন সংস্থা এটি তৈরি করছে।
প্রথম টাইটানিক জাহাজটিও তৈরি করেছিল এই সংস্থাই। টাইটানিক-২ যেন প্রথম টাইটানিকেরই যমজ। বাইরে থেকে দেখতে ১৯১২-এর মডেল হলেও ভেতরটা পুরো আধুনিক।
একেবারে একুশ শতাব্দীর ছোঁয়া। চলবে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে। থাকবে রাডার, জিপিএস সিস্টেমও। কিন্তু নিরাপত্তা ও বিনোদনের কথা মাথায় রেখে অনেক কিছু রদবদল করা হয়েছে এর। ২৭০ মিটার লম্বা, ৫৩ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট টাইটানিক-২ এও রয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর আসনের ব্যবস্থা। খবর গ্য গার্ডিয়ানের।
বিশ্বের অন্যতম অভিজাত জাহাজ টাইটানিক। ১৯১২ সালে বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, টাইটানিক কোনোদিনই ডুববে না। কিন্তু প্রথম যাত্রাকালেই ইতিহাসের অন্যতম ট্র্যাজেডিই ঘটে যায়। কিন্তু টাইটানিককে আজও নিজেদের স্মৃতিতে ভাসিয়ে রেখেছে মানুষ। ১৯৯৭ সালে জেমস ক্যামেরনের ছবি ‘টাইটানিক’ তাতে আরও ইন্ধন জোগায়। এরপর অনেকেই ভাবতে শুরু করেন, যদি আরও একবার ভাসিয়ে তোলা যায় এই কিংবদন্তির জাহাজটিকে। সেই স্বপ্ন থেকেই অস্ট্রেলিয়ার খনি ব্যবসায়ী ক্লাইভ পামার উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন ‘টাইটানিক-২’ নির্মাণে। আর সেই জাহাজ সত্যিই এবার ভাসতে চলেছে।
২০২২ সালেই সমুদ্রের জলে ভাসবে ‘টাইটানিক-২’। তবে ব্লু স্টার লাইনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রথম যাত্রার তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘জাহাজের নির্মাণ কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই যাত্রার তারিখ ঘোষণা করা হবে।’ এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হৈচৈই পড়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে জাহাজের নিরাপত্তা, লাইফ জ্যাকেট, যাত্রীর সংখ্যা, নাবিকের সংখ্যা প্রভৃতি।
টাইটানিক ট্র্যাজেডির ১১০তম বার্ষিকীতে জাহাজটি প্রথম যাত্রায় চীন থেকে দুবাই এরপর দুবাই থেকে ইংল্যান্ডের সাদাম্পটনে পৌঁছবে। তারপর পুরনো টাইটানিকের রুট ধরেই এটি পাড়ি দেবে আটলান্টিক। ডুবে যাওয়া টাইটানিকের জন্য নির্ধারিত রাস্তা ধরেই তা পৌঁছবে নিউইয়র্কে। ব্লু স্টার লাইন জানিয়েছে, এর আনুমানিক ২৪০০ যাত্রীর ব্যবস্থা থাকবে। এর বাইরে নাবিক থাকবেন ৯০০ জন। পুরনো টাইটানিক ছিল কয়লাচালিত। নতুন জাহাজটি হবে ডিজেলচালিত। এতে আরও থাকবে, হেলিপ্যাড, প্রত্যেক যাত্রীর জন্য লাইফবোট। থাকবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী মিলিয়ে মোট ৮৪০টি কেবিন।