এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংলাপে বসছেন। কাল-পরশুর মধ্যেই দু’পক্ষের নেতারা গণভবনে এ আলোচনায় বসবেন। এতে সরকারি দলের নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল যোগ দেবেন। সাত দফা ও এগারো দফা লক্ষ্যের ভিত্তিতেই আলোচনা হবে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে চিঠি দেয়া হবে।
ড. কামাল হোসেনের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার পরদিনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বসতে সম্মতি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনের পর রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে ফোন করে সংলাপের বিষয়ে কথা বলেন। মোস্তফা মহসিন মন্টু যুগান্তরকে বলেন, ওবায়দুল কাদের ফোন করে সংলাপের জন্য গণভবনে নৈশভোজের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু সংলাপ কবে হবে তা ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্টু বলেন, ওবায়দুল কাদের তার কাছে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট থেকে কতজন অংশ নিতে পারে। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ সদস্যের একটি দল অংশ নিতে পারে। মঙ্গলবার (আজ) নিজেরা বৈঠকে বসে নামের তালিকা চূড়ান্ত করবেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ দাবিতে সম্মত হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও চাপের মুখে নতিস্বীকার করিনি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কাউকে সংলাপে ডাকিনি। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংলাপ করতে চান। সংলাপের দরজা সবার জন্য খোলা। আমরা ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে সম্মত।’
এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ঐক্যফ্রন্টের চিঠি এবং সংলাপের প্রস্তাব প্রসঙ্গ উঠে আসে। অনির্ধারিত এ আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় আওয়ামী লীগের সভাপতির দরজা কারও জন্য বন্ধ নয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসতে রাজি হওয়ায় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে পাল্টে যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
উন্মোচিত হতে যাচ্ছে সমঝোতার দ্বার। বড় দুই দলের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এ সংলাপের মধ্য দিয়ে দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম একটা সমঝোতা আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নয়, সব দলের সঙ্গে সংলাপে বসা উচিত বলে মনে করেন তারা। এ সংলাপ যেন অর্থবহ হয় সেদিকে সবাইকে গুরুত্ব দেয়া এবং সজাগ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএনপি বারবার সংলাপের কথা বললেও সে দাবি নাকচ করে দিয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে রোববার বিকালে সাত দফার দাবিতে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। এই জোটের অন্যতম শরিক বিএনপি। এর একদিন পর ক্ষমতাসীন দল এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়।
সোমবার বিকালে সেই চিঠির জবাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংলাপে বসার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন দলটি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা মানা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আলোচনা যখন হবে, এর রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করেন, সংলাপেই সিদ্ধান্ত হবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একেএম নুরুল হুদাকে চিঠি দেয়ার কথা থাকলেও আপাতত এ পরিকল্পনাও স্থগিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
জোটের নেতারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়ায় নতুন করে আর কাউকে চিঠি দেয়ার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকালে এবং রাতে দু’দফায় বৈঠক করেন এ জোটের শীর্ষ নেতারা। প্রথমে বৈঠক হয় ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তার মতিঝিলের চেম্বারে। এ বৈঠকে ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
২ নভেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ করার কথা ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। এদিন তারা রাজশাহীর পরিবর্তে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অনুমতি মিললে যে কোনো এক জায়গায় সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর ৬ নভেম্বর তারা রাজশাহীতে সমাবেশ করতে চান। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে সুধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা থালেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করেছে জাতীয় এক্যফ্রন্ট।
এদিকে ক্ষমতাসীনরা সংলাপে বসতে সম্মতি জানানোর পর কর্মকৌশল চূড়ান্তে দফায় দফায় বৈঠক করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জরুরি বৈঠকে বসেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চেম্বারে বৈঠকে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সংলাপে সর্বোচ্চ কতটা ছাড় দেয়া যেতে পারে, সেই ব্যাপারে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন।
রোববার বিকালে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে ড. কামাল হোসেন চিঠি পাঠান। যুক্তফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল এ চিঠি পৌঁছে দেন।
ড. কামাল হোসেন চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সবার অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছে।’
একই সময় অভিন্ন আরেকটি চিঠি দেয়া হয় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও। চিঠির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত সাত দফা দাবি এবং ১১টি লক্ষ্যও সংযুক্ত করে দেয়া হয়। চিঠিতে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে এক পৃষ্ঠার চিঠিতে ড. কামাল হোসেন মূলত সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ওপরই বেশি গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে কথা হয় বলে একাধিক মন্ত্রিসভার সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানায়, অধিকাংশ সদস্যই আলোচনার পক্ষে ছিলেন। তবে কয়েকজন আলোচনার বিপক্ষে মত দেন। তাদের যুক্তি ছিল, এতদিন আমরা কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না, বলে এসেছি। তাহলে এখন কীভাবে আলোচনায় বসব? বিশেষ করে যারা আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করেছে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে আলোচনার জন্য বিএনপিকে আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেটা গ্রহণ করেনি। এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিজ থেকে আলোচনার জন্য আমার কাছে সময় চেয়েছে। কেউ যদি আমার বাড়িতে আসতে চায় তাহলে আমি কীভাবে তাদের মানা করি। আর আলোচনা তো বিএনপির সঙ্গে হচ্ছে না। আলোচনা হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন মনোভাব জানানোর পরই বিকালে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমি এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসীর জন্য ‘সারপ্রাইজ’ দেব, যা সারা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দেবে।’
তিনি বলেন, তফসিলের আগেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন তারা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বক্ষণে কোনো চাপের মুখে এই সংলাপ হচ্ছে না এবং তারা কোনো পূর্বশর্তও দিচ্ছেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারও চাপের মুখে নতি শিকার করিনি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কাউকে সংলাপে ডাকিনি। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংলাপ করতে চান। সংলাপের দরজা সবার জন্য খোলা। আমরা ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে সম্মত।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী কাদের বলেন, শেখ হাসিনার দরজা কারও জন্য বন্ধ হয় নাই, বন্ধ থাকে না। এর মধ্য দিয়ে আপনারা বুঝতে পারছেন যে আমরা আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে সম্মত। আমরা সবাই এ ব্যাপারে নেত্রীর সঙ্গে একমত যে আমরা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসব।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই সংলাপ চেয়ে আসছিল বিএনপি। ওই সময় জাতিসংঘের সহকারী অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো কয়েকদফা ঢাকা সফর করেন। সর্বশেষ নির্বাচনের আগে দুই দলকে এক টেবিলে বসাতে পারলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। বিএনপি ওই নির্বাচন বর্জন করে।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারানকোর উপস্থিতিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সংবিধানের বাধ্যবাধকতার কারণে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শিগগিরই সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়। ফের শুরু হয় উত্তেজনা। বিগত কয়েকটি বছর নানা ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
একাদশ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ক্ষমতাসীনদের সংলাপে বসার আহ্বান জানায় বিএনপি। কিন্ত সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করে ক্ষমতাসীনরা। এমন পরিস্থিতিতে একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পাঁচ বছরের সাজা হওয়ায় দুই দলের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়তে থাকে। বিএনপিও হাল ছাড়েনি। সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করায় বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়া হয়। সরকারবিরোধী একটি প্লাটফরম দাঁড় করাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। অবশেষ ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার দল নিয়ে গঠন করা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
১৩ অক্টোবর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে ৭ দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য তুলে ধরে তা নিয়ে নতুন করে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের নিয়ে অনির্ধারিত একটি বৈঠক করেন। উপস্থিত দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সবার মতামত জানতে চান। অনির্ধারিত এ আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আওয়ামী লীগের সভাপতির দরজা কারও জন্য বন্ধ নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, এসএম কামাল প্রমুখ।
এদিকে ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চেম্বারেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদসহ জোটের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সংলাপের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া জোটের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির বৈঠক আরামবাগের গণফোরাম কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। সভার এক প্রস্তাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মনিরুল হক চৌধুরীর গ্রেফতারের নিন্দা ও অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করা হয়। এক প্রস্তাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে বরকত উল্লাহ বুলুকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।