এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : সরকারের নেয়া মেগা প্রকল্পগুলো শেষ করতে পুনরায় আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের সুযোগ করে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সোমবার দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘আবার আসিব ফিরে এই সংসদে।’ নির্বাচনের আগে স্বাভাবিকভাবে আর কোনো অধিবেশন বসবে না বলে কার্যত এটিই দশম সংসদের শেষ অধিবেশন।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা অনেক বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরও কিছু সময় দরকার। জনগণ আমাদের ভোট দিলে আমরা সেই অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে পারব। আমাদের আরেকবার সুযোগ দিন। তিনি আরও বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, কেমন বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই এটাই আমাদের চিন্তা। তাদের জন্য সুন্দর বাসযোগ্য দেশ হয় সেটার জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হব। এরই মধ্যে আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৪ সালের মধ্যে এর পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি আসবে। এর জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা খুব দরকার। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের শেষ সময় এসে গেছে। এটা সংসদের শেষ অধিবেশন। যদি কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে বা যুদ্ধ-বিগ্রহ না ঘটে তাহলে এটাই শেষ অধিবেশন।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলে আমরা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করব। তিনি বলেন, আমেরিকার মতো দেশে ১৮ শতাংশ দরিদ্র মানুষ আছে। আমাদের লক্ষ্য আমাদের দেশে দরিদ্রের হার আমেরিকার থেকেও নিচে নিয়ে আসতে পারব। আর সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়াও অসম্ভব নয়। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ আমাদের পরিবারের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বিদেশে থাকার কারণেই হয়তো আমরা দুই বোন বেঁচে গিয়েছিলাম। আশা-ভরসা কিছু ছিল না। ৬ বছর রিফিউজির মতো জীবন কাটিয়েছিলাম। তবে দেশের প্রতি চিন্তা ছিল, কিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব তা নিয়ে অনেক ভেবেছি। এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।
’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন অনেক কাজ করেছিলাম। ২০০১ সালে নির্বাচনে না জিততে পারায় আমার অসমাপ্ত অনেক পরিকল্পনা ধ্বংস করে দেয়া হয়। এরপর ২০০৮ সালে আবার আমরা ক্ষমতায় আসি। এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন করে হচ্ছে। মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারছি। অবকাঠামো উন্নয়ন করছি, বাজেট সাতগুণ বৃদ্ধি করেছি। নিজস্ব অর্থায়নে বেশিরভাগ বাস্তবায়ন করছি। বাংলাদশের মানুষের মাঝে আত্মমর্যাদাবোধ জেগেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটাও আমরা নিজের টাকায় করে চলেছি।
বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার সংগ্রাম সফল হয়েছে। এরপর থেকে আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম করে সৎ পথে থাকলে সেই যুদ্ধে সফল হওয়া সম্ভব। আমরা সেই পথেই হাঁটছি। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের কর্তব্য। শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করব বলেছিলাম। তখন আমাদের অনেক কটূক্তি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, দেশের ৯০ ভাগ এলাকায় ব্রডব্যান্ড দিয়েছি, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫ কোটি সিম ব্যবহার হয়। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছিল, আমরা তার মর্যাদা রেখেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত করেছি। আজ দেশের মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। এতবড় বাজেট এখন দেশের, এক সময় দেশের মানুষ চিন্তাও করতে পারেনি। আজ দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি। মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। শিল্প খাত এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কবি সুকান্তের কবিতাটির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সুকান্তের ভাষায় বলব- ‘চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’ এরপর তিনি জীবনান্দ দাশের ভাষায় বলেন, ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ি নদীর তীর/এই সংসদে।’
বিরোধী দলের দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় সেজন্য ব্যাংক, বীমা, বেসরকারি টেলিভিশনসহ সবকিছু বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, জীবনমান কেমন হবে? কেমন বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই, সেটাই একমাত্র চিন্তা। টানা ১০ বছরে আমাদের শাসনামলে তরুণ প্রজন্মের সুন্দর জীবন দিতে প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছি। আজকে আমরা নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষা করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে সুনির্দিষ্ট টার্গেট করেছি শুধু আইসিটি খাত থেকেই ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করব। ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে এখন দ্বিতীয়। ৬ লাখেরও বেশি তরুণ-তরুণী দেশে ঘরে বসেই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জন করছে। মোবাইল ব্যাংকিংও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে, এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোরবানির গরুও এখন অনলাইনে বিক্রি হয়। সাড়ে সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তুলেছি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আইটি খাতে বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। ২০২১ সাল নাগাদ ১ হাজার ১৮৭টি ই-সেবা চালু করা হবে। সাইবার ঝুঁকি থেকে দেশকে রক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করেছি। যারা শুধু ক্রাইম করবে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে, অন্যদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
শেষ অধিবেশনে ১৯টি বিল পাসের রেকর্ড : বিল পাসে রেকর্ড গড়ে সোমবার শেষ হয়েছে বহুল আলোচিত জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের অধিবেশন সমাপ্তিসংক্রান্ত নোটিশ পাঠ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দশম জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
দশম সংসদের ২২তম অধিবেশনে পাস হওয়া ১৮টি বিলের রেকর্ড ভেঙে নতুন ১৯টি বিল পাসের রেকর্ড গড়েছে ৮ কার্যদিবসের ২৩তম এ অধিবেশন। এছাড়া এ অধিবেশনে ডজনখানেক বিলের রিপোর্ট উপস্থাপিত হয়েছে। অধিবেশন ২১ অক্টোবর শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ অক্টোবর। সে পর্যন্ত ৯টি বিল পাস হয়। কিন্তু আরও বেশ কিছু বিল পাস করতে অধিবেশনের মেয়াদ ৩ দিন বাড়ানো হয়। এর ফলে শুক্রবার মুলতবি দিয়ে শনিবারও সংসদ অধিবেশন বসে।
সব মিলিয়ে চলতি অধিবেশনের ৮ কার্যদিবসে বিল পাসের হুড়োহুড়ি লক্ষ্য করা গেছে। কোনো বিল সংসদে উত্থাপিত হয়ে মাত্র ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টের জন্য সময় নির্ধারিত হয়। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন রাতে সম্পূরক কার্যসূচি এনে বিলের রিপোর্ট উপস্থাপিত হয়েছে বা বিল পাস হতে দেখা গেছে। এমনকি সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে রাত ১১টায়ও স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
শেষ হওয়া সংসদের ২৩তম অধিবেশনে ১৯টি বিল পাস হয়েছে। এগুলো হল- শিশু (সংশোধন) বিল-২০১৮, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট বিল-২০১৮, ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড বিল-২০১৮, সরকারি চাকরি বিল-২০১৮, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০১৮, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বিল-২০১৮, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বিল-২০১৮, মানসিক স্বাস্থ্য বিল-২০১৮, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল-২০১৮, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৮, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট বিল-২০১৮, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বিল-২০১৮, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্র্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট বিল-২০১৮, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বিল-২০১৮, মৎস্যসঙ্গনিরোধ বিল-২০১৮ এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট বিল-২০১৮। এছাড়া সোমবার কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস বিল-২০১৮, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৮ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিল-২০১৮ সংসদে পাস হয়। এ নিয়ে ১০ম জাতীয় সংসদের ২৩তম ও অন্তিম অধিবেশনে ১৯টি বিল পাস হয় এবং ডজনখানেক বিলের রিপোর্ট উপস্থাপিত হয়েছে।
এছাড়া বহুল আলোচিত আরপিও সংশোধন বিলটি সোমবার কেবিনেটে অনুমোদিত হলেও তা সময়ের অভাবে সংসদে উত্থাপিত হয়নি। যা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে পরিণত হবে। এ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ১৫৪টি নোটিশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনটি গৃহীত ও একটি আলোচিত হয়। ৭১(ক) বিধিতে ২ মিনিটের আলোচনায় নোটিশের সংখ্যা ৪৫টি। প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের জন্য ৫৯টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিনি ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রীর জন্য ৯২৪টি প্রশ্ন আসে। তার মধ্যে ৫৯২টির উত্তর দেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
এদিকে দশম সংসদে বিল পাস হয়েছে প্রায় ২০০। সংসদে পাস ও উচ্চ আদালতে বাতিল হওয়া সংবিধানের ১৬তম সংশোধন ছিল এ যাবৎকালে ১৭টি সংশোধনের অন্যতম আলোচিত ঘটনা।
সোমবার দশম সংসদের সমাপ্তির মাধ্যমে কার্যত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৩ দফার (ক) উপদফা অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাঙার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে। সেই হিসাবে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দশম সংসদের অধিবেশন শেষ হয়েছে। তবে কোনো বিশেষ কারণে সংসদ বসতে সংবিধান অনুযায়ী কোনো বাধা নেই।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার ’৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। ফলে সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ২০০৯ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা তার সরকার মোট তিনবার সংবিধানে সংশোধন এনেছে। এর মাধ্যমে সংবিধানের ১৭টি সংশোধনের মধ্যে সাতটি এসেছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। প্রথম চারটি এসেছিল বঙ্গবন্ধুর আমলে, তিনটি শেখ হাসিনার আমলে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, আমার দৃষ্টিতে দশম সংসদ একটি ফলপ্রসূ সংসদ। আমি ১৯৮৬ সালের পর থেকে সংসদে আছি, ওই সময়ের পর এবারের সংসদেই সবচেয়ে প্রাণবন্ত কার্যক্রম চলেছে। তিনি বলেন, ২০০১ সালে সংসদে বিরোধী দলকে প্রায় কথা বলতেই দেয়া হয়নি। প্রায় ২০০ আইন প্রণয়নসহ সার্বিক কার্যক্রম বিবেচনায় দশম সংসদ অত্যন্ত সফল।
গণপরিষদ থেকে শুরু করে বেশির ভাগ সংসদেই উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি অধিবেশনে দশম সংসদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণে দশম সংসদ সফল সংসদ হিসেবে কাজ চালিয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস হচ্ছে সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণে আন্তরিক পরিবেশে জনগণের কল্যাণে কাজ করা। এ সংসদে সেটাই হয়েছে।
অধিবেশনের শেষ দিনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, অংশগ্রহণের দৃষ্টিতে দেখতে গেলে দশম জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সংসদ। সরকারে থাকার কারণে হয়তো অনেকে আমাদের সমালোচনা করেন। কিন্তু এটা একটা পরীক্ষামূলক যাত্রা ছিল।