এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : পাঁচ দেশ সঙ্গে নিয়েও আফগান-তালেবানকে শান্তির পথে ফেরাতে পারল না রাশিয়া। আফগানিস্তানে ১৭ বছর চলমান যুদ্ধ বন্ধে রুশ উদ্যোগে শুক্রবার প্রথমবারের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীটির সঙ্গে আলোচনায় বসে ভারত, ইরান, পাকিস্তান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই মস্কোর ওই বৈঠক ত্যাগ করে তালেবান হাইকমান্ড। আফগানিস্তানে বিদেশি সেনা সরিয়ে নেয়ার তালেবান প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় ভেস্তে যায় বৈঠক।
ফলশূন্য হলেও এ উদ্যোগকে আফগান ইতিহাসে ‘নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ বলে অভিহিত করেছেন ঐতিহাসিক রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। খবর এএফপির।
তালেবান ও কাবুলের হাই পিস কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা বলেছেন, সরাসরি শান্তি আলোচনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ বৈঠক শেষ হয়েছে। তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই বলেন, ‘এটা সরাসরি আলোচনার কোনো বৈঠক ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার বৈধ কোনো সরকার মনে করে না তালেবান। তাই সরাসরি আলোচনায় যাব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি, দেশ থেকে প্রথমে সব বিদেশি সেনা সরিয়ে নেয়া।
আমাদের দাবি মানা হলে আমরা সরাসরি মার্কিনিদের সঙ্গে আলোচনা করব।’ আফগান প্রতিনিধি হাজী দিন মোহাম্মদ বলেছেন, রাশিয়ার আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন তারা। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
আফগানিস্তানে ২০০১ সাল তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্রে ও ন্যাটো জোট। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে জয়ের মুখ দেখেনি তারা। ২০১৪ সালে এক চুক্তির মধ্য দিয়ে মার্কিন সেনা তুলে নেয়া শুরু করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর ‘নতুন আফগান নীতি’ ঘোষণা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কিছুদিন পর যুদ্ধের ইতি টানতে আলোচনা শুরু করে জালমাই খালিলজাদে নামে এক দূত নিয়োগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অক্টোবর মাসেই খালিলজাদের সঙ্গে কাতারে একটি বৈঠক করে তালেবান প্রতিনিধি দল। এ বৈঠক থেকেও কোনো ফল আসেনি।
আফগানিস্তান শান্তি নিয়ে এ ধরনের কোনো এবারই প্রথম যোগ দিয়েছে ভারত। বৈঠকের আগে বিষয়টি স্বীকার করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার জানান, ভারত সরকারি স্তরে এ বৈঠকে অংশ নিচ্ছে না। রাভিশ কুমার আরও জানান, শান্তির পথে ফিরিয়ে নিয়ে এসে আফগানিস্তানকে নতুন করে গঠনের কাজে ভারত সব সময় পাশে আছে।