এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা কয়েকশ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে ভারতের সংখ্যালঘুবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেছেন, মুসলিমরা রামমন্দির নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
তিনি বলেন, ‘শিগগির রামমন্দির ইস্যুর নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের জন্য বিজেপি নেতাদের আইন তৈরি করার দাবি প্রসঙ্গে তিনি ‘অপেক্ষা করুন ও দেখুন’ নীতিগ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়ান টাইমসের।
নাকভি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত কোনো কিছু বলেননি। সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাব। তবে সরকার এ বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি।
বিতর্কিত ওই ইস্যুকে মুসলিমরা কীভাবে দেখছেন, এই প্রশ্নের জবাবে নাখভি বলেন, ‘একজন সাধারণ মুসলিম শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান চায়। মুসলিমরা শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায়। তারা নিজেদের কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে শামিল করতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, কিছু লোক ও কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থের জন্য তাদের উসকানি দেয়ার চেষ্টা করতে পারে। যদিও মানুষ চায় ওই ইস্যুর শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হোক।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে বড় কোনো দাঙ্গা এবং সন্ত্রাসী হামলা হয়নি বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা কয়েকশ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে। তাদের দাবি, ওই স্থানটি রামের জন্মস্থান। এ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা বিচারাধীন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে ওই মামলার শুনানি হবে। কিন্তু তার আগেই বিজেপি-আরএসএসের একাংশের নেতা বিতর্কিত ওই স্থানেই রামমন্দির নির্মাণের জন্য অর্ডিন্যান্স জারি ও আইন তৈরি করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।