এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রিসভা একটি আইনের অনুমোদন দিয়েছে।
‘আগে বলা হয়েছিল, এ সরকার রুটিন কাজ করবে, কোনো আইন অনুমোদন বা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। আজ তো আইন পাস হল।’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শিডিউল ডিক্লেয়ারের (তফসিল ঘোষণা) পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়েছে। আইন উঠতে পারে। সেটা সংসদে তো পাস হচ্ছে না, সংসদ তো নেই। আইন করতে বাধা নেই।’ মন্ত্রিসভা বৈঠক চলমান থাকবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘এটা (আইন অনুমোদন) কেবিনেটের কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে, এটাকে রুটিনই বলা যায়। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প এগুলোকে স্পর্শ করে না।
আইন প্রণয়ন করা সরকারের রেগুলার কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার তো রেগুলারই আছে, কোনো সমস্যা তো দেখছি না। নির্বাচনকালীন সরকার- এটা তো আমাদের দেয়া নাম, সাংবিধানিক নাম নয়।’
মন্ত্রিসভা রদবদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘না, এ রকম কোনো সংবাদ নেই, থাকলেও আপনাদের তো বলবই।’ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে এখনও আসেনি।’ আজকের বৈঠকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, উপস্থিত ছিলেন।’ কীসের ভিত্তিতে তারা উপস্থিত ছিলেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের যে কনস্টিটিউশন প্রভিশন (সংবিধানের বিধান) তাতে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ একজন মন্ত্রী যদি উনার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন, তবে তিনি মন্ত্রী থাকবেন, সাবমিশন হচ্ছে গেজেট নোটিফিকেশন হওয়া পর্যন্ত। উনার পদত্যাগটা চূড়ান্ত হবে যখন গেজেট নোটিফিকেশন হবে। যেহেতু হয়নি, তাই তারা মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন বলে গণ্য হবে।’ কবে নাগাদ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা আমার বলার উপায় নেই।’
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ৩৩ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী, দু’জন উপমন্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী চারজন।