এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে দেয়া কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ওই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের দণ্ড বাতিল ও খালাস চাওয়া হয়েছে আবেদনে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী কায়সার কামাল ও নওশাদ জমির এ আবেদন করেন। আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল চেয়ে খালাস ও জামিনের আবেদন করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।’
এর আগে গত ১৪ই নভেম্বর (বুধবার) খালেদা জিয়ার আইনজীবীদেরকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই মামলার রায়ের ৬৩২ পৃষ্ঠার সার্টিফায়েট কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবার কাছে হস্তান্তর করেন।
নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ অস্থায়ী আদালতে গত ২৯শে অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং বিএনপি নেতা ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
কারাদণ্ড ছাড়াও প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা ও তা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে এই ট্রাস্টের নামে কেনা ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ারও আদেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর ও অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন একই আদালতের বিচারক। সেই থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। পরে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল ও দণ্ড বাড়াতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক আপিলের শুনানি নিয়ে গত ১০ই অক্টোবর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।