এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : জিব্রালটার নিয়ে অনৈক্য শেষ মুহূর্তে কেটে গেছে। শনিবার এ সমস্যার সমাধান হয়। এর ফলে রোববারের ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় স্পেনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। জিব্রালটার নিয়ে অনৈক্যে তারা রোববারের ব্রাসেলস বৈঠক বর্জনের হুমকি দিয়েছিল। ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা রোববার বৈঠকে বসছেন ব্রাসেলসে। তার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান ডনাল্ড ট্রাস্ক সব সদস্য দেশের প্রতি এ চুক্তিকে অনুমোদন দেয়ার সুপারিশ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা তার দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি তার ব্রেক্সিট চুক্তিতে বৃটিশদের সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তেরেসা মে বলেছেন, তার চুক্তি বৃটেনের উজ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া আগামী বছর তার দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে গেলে তা হবে পুরো দেশের জন্য এক নতুন যুগ ও পুনরুজ্জীবন।
ওদিকে রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করে তাহলেও এ চুক্তি বৃটিশ পার্লামেন্টে পাস হতে হবে। কিন্তু সেখানে সমস্যা রয়ে গেছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র রক্ষণশীল দলের এমপি সহ অনেক এমপি এ ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এই যখন অবস্থা তখন ‘লেটার টু দ্য নেশন’ বা জাতির উদ্দেশে তেরেসা মে’র লেখা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। এমন এক সময়ে এ চিঠিম তিনি লিখেছেন যখন ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোববার এই চুক্তি অনুমোদন করতে বৈঠকে বসছে। তেরেসা মে দাবি করেছেন, এই চুক্তি হলো তার দেশের জাতীয় স্বার্থে। তার ভাষায়, ২০১৯ সালের ২৯ শে মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে তার দেশের জন্য তা হবে জাতীয় জীবনের এক নতুন অধ্যায়।
রোববারের সামিটে কি ঘটবে?
রোববার স্থানীয় সময় সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রেক্সিট ইস্যুতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুমোদন করার কথা। তা হলো ১. রাজনৈতিক ঘোষণা। ব্রেক্সিট পরবর্তীতে বৃটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হবে তা নির্ধারণ করা থাকবে এতে। বৃটেন ও ইইউয়ের মধ্যে ব্যবসা ও নিরাপত্তা কিভাবে কাজ করবে তাও উল্লেখ করা হবে এতে। ২. ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রত্যাহারের চুক্তি। সামনে রয়েছে ৫৮৫ পৃষ্ঠার আইনগতভাবে বাধ্যতামুলক চুক্তি।