এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, এই মুহূর্তে লড়াই ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। গতকাল আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ইসির মুখে এক কথা, মনের মধ্যে আরেক কথা। তারা জানে, তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের কোনো কথা পুলিশ বা প্রশাসন শোনে না। ইসি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি বলেন, সরকার জানে মাঠপর্যায়ে তাদের ভোট নেই। তাই গ্রেপ্তার ও মামলা চলছে। মওদুদ বলেন, ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে।
এই জোয়ার কেউ থামাতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা এলে এই সরকারের পতন হবে। তবে, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আশা করা যাবে না। ইলেকশন কমিশন তাদের কর্তব্য ও ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। ইলেকশন কমিশনের মুখে এক, বাস্তবে আরেক। তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার একজন আমলা। তিনি ইসির কর্মকর্তা নন। সরকারের কর্মকর্তা। তার মেইনস্ট্রিম ক্যারিয়ার-প্রমোশন সবকিছু সরকারের আওতাধীন।
তাই দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। দলীয় সরকার থাকলে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, মন্ত্রী ও সরকারদলীয় প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এই নির্বাচন পরীক্ষায় দেশের মানুষকে ভোটের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার অপসারণ করতে হবে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে স্বৈরাচারী সরকার। কিন্তু তবুও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যত গ্রেপ্তার ও ধরপাকড়ই হোক না কেন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমি লড়াই ছাড়া কোনো বিকল্প দেখি না। মান্না বলেন, আমার আসনে তেমন কেউ নেই। আমি সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা, তাই বগুড়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগও আমার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস পায়নি। পুলিশ দমাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমার পাশে বসে আছেন মওদুদ ভাই।
নির্বাচনে তার আসনে লড়াই করবেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। এই ওবায়দুল কাদের সাহেব কাউকে বন্দি রেখেও কবিতার মতো করে গুছিয়ে মিথ্যা বলেন। তবে, স্থানীয় জনগণ একটা কথা বলে, একবার সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকে দেখে নেবো। এবারের নির্বাচনী পরিস্থিতি অন্যরকম উল্লেখ করে মান্না বলেন, এবার সবাইকে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়তে হবে। আমাদের একশ জনকে গ্রেপ্তার করলে এক লাখ কর্মীকে তার জবাব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্রের কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, আপনারা একজনকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। কিন্তু জিয়াকে নিয়ে একটা বানিয়ে দেখেন। গ্রাম থেকে শহর তোলপাড় হয়ে যাবে। মানুষের ঢল নামবে সেই সিনেমা দেখার জন্য। জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।